নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আবার দীর্ঘ একবছরের অপেক্ষা। বেজে উঠেছে বিষাদের সুর। সকলের চোখের কোণে আজ জল জমেছে। বিকেল হলেই বেজে উঠবে বিসর্জনের বাজনা। অবশ্য কলকাতার বড় বারোয়ারি পুজোগুলির বিসর্জন মঙ্গলবার হবেনা। বাড়ি ও আবাসনের পুজোগুলি সাধারণত দশমীতেই বিসর্জন দেওয়া হবে। তাই বাড়তি সতর্কতা নিল পুলিশ।
শহরের প্রায় ৩৪টি ঘাটে বিসর্জন হয়। সেখানে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকছে। দশমীর দুপুর থেকেই ঘাটগুলিতে পুলিশি টহলদারি চলবে। ঘাটগুলি পরিষ্কার রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশকর্তারা ঘাটগুলি পরিদর্শন করেছেন। প্রতিটি ঘাটে বিপর্যয় মোকাবিলার টিম থাকছে। বিসর্জন হয় এমন ৪০টি লেক ও জলাশয় শনাক্ত করা হয়েছে। সেখানেও থাকছে পর্যাপ্ত পুলিশ।
কলকাতা, হাওড়ার দিকের ঘাটগুলিতে টহল দেবে কলকাতার জল পুলিশ। ১৮টি লাইফ সেভিং বোট থাকছে। বৃষ্টির যেহেতু পূর্বাভাস রয়েছে তাই মাইকিং-এর মাধ্যমে সচেতন করা হবে। জলে প্রতিমা ফেলার পর কাঠামো সরিয়ে নিতে নিমতলা, বাজেকদমতলা, গোয়ালিয়র ঘাট ও বিচালিঘাটে চারটি বোট থাকছে। ডিএমজির বিশেষ বাহিনী রয়েছে। থাকছে ডুবুরি। ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ ঘাট যেখানে বেশিরভাগ প্রতিমা বিসর্জন হয় সেখানে থাকছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
বিসর্জনের শোভাযাত্রায় নিষিদ্ধ ডিজে।সেদিকেও নজর রাখবে পুলিশ কর্মীরা। ২৩৮টি স্থানে তাই রয়েছে পুলিশ পিকেট। নিয়ম অন্যথা হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এদিন দুপুর ৩টের পর থেকে শহরের ৫৫টি রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। শহরের ১৫টি রাস্তায় বিসর্জনের সময় পার্কিং নিষিদ্ধ।