নিজস্ব প্রতিনিধি: বিধাননগর পুরনিগমের(Bidhannagar Municipal Corporation) আওতায় আসা থাকদাঁড়ি(Thakdnari), ছয়নাভি(Choynavi), নয়াপট্টি(Nayapatti), মহিষবাথানের(Mahishbathan) মতো এলাকার বাসিন্দাদের এবার থেকে নিয়মিত ভাবে Property Tax দিতে হবে। খুব শীঘ্রই ওই ৪টি এলাকা থেকে Property Tax নেওয়া শুরু করতে চলেছে বিধাননগর পুরনিগম। এই এলাকাগুলির মধ্যে থাকদাঁড়ি দীর্ঘদিন ধরে গ্রাম পঞ্চায়েতের আওতায় ছিল। বাকি এলাকাগুলি ছিল রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার মধ্যে। ২০১৫ সালে এই এলাকাগুলি বিধাননগর পুরনিগমের আওতায় এনে নতুন করে তৈরি করা হয় ৪টি ওয়ার্ড। কিন্তু, সেখানকার বাসিন্দারা পুরনিগমের মধ্যে এলেও শুধুমাত্র জমির আয়তন হিসেবে খাজনা জমা করে করতেন ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরে। নানা কারণে তাঁদের এতদিন সম্পত্তিকরের আওতায় আনা যায়নি। কিন্তু এবার তাঁরা সম্পত্তিকরের আওতায় চলে আসছেন।
এই বিষয়ে বিধাননগর পুরনিগমের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, থাকদাঁড়ি, ছয়নাভি, নয়াপট্টি ও মহিষবাথান মূলত কলোনি এলাকা। ফলে, রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার বাসিন্দাদের যত দ্রুত নতুন করের আওতায় আনা গিয়েছিল এক্ষেত্রে তা হয়নি। কারণ, কলোনি এলাকার জমিতে পুরকর বসানোর ক্ষেত্রে অনেক নিয়ম মানতে হয়। West Bengal Valuation Board থেকে অনুমতি নেওয়া ছাড়াও বাড়ি-বাড়ি কর মূল্যায়ন করতেও দীর্ঘ সময় লেগেছে। এবার থেকে সম্পত্তিকরের পাশাপাশি ওই এলাকার বাসিন্দাদের খাজনাও দিতে হবে বলে জানিয়েছেন পুরনিগমের কর্তারা। প্রশ্ন উঠছে, সল্টলেকের বাসিন্দাদের তো সম্পত্তিকরের বাইরে আর কোনও কর দিতে হয় না। তাহলে একই পুরনিগমের বাসিন্দা হলেও কেন থাকদাঁড়ি, ছয়নাভি, নয়াপট্টি, মহিষবাথানের ক্ষেত্রে পৃথক নিয়ম? এ প্রসঙ্গে বিধাননগর পুরনিগমের বক্তব্য, মূল সল্টলেকের বাসিন্দারা যে জমি্র ওপর বাড়ি বা ফ্ল্যাটে থাকেন তা পুর দফতরের আওতাধীন। সেকারণেই ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর এই জমি থেকে খাজনা নেয় না। তবে, রাজারহাট-গোপালপুর-সহ রাজ্যের সব পুরসভার বাসিন্দাদেরই সম্পত্তিকরের বাইরে খাজনা দিতে হয়।
বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘West Bengal Valuation Board থেকে অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। খুব শীঘ্রই ৪টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সম্পত্তিকরের বিল পাঠানো শুরু হবে। এতে আয়ও বাড়বে।’ সম্পত্তিকরের আওতায় আসছে যে ৪টি ওয়ার্ড সেগুলি হল – ২৭, ২৮, ৩৫ ও ৩৬। বর্তমানে সম্পত্তিকরের আওতায় আছেন সল্টলেকের ৫৭ হাজার বাসিন্দা এবং রাজারহাট -গোপালপুরের ১ লক্ষ ৩০ হাজার বাসিন্দা। করের আওতায় নতুন করে নথিভুক্ত হচ্ছেন ১৯ হাজার ৩০০ জন। সম্পত্তিকর বাবদ বিধাননগর পুরনিগমের বর্তমানে আয় ৩৫ কোটি। ৪টি ওয়ার্ড যুক্ত হওয়ায় সে আয় বেড়ে দাঁড়াবে ৪৭ কোটি টাকায়।