নিজস্ব প্রতিনিধি: অস্বস্তিসূচক কাঁটা এখনও আটকে রাজ্যের শাসক দলের অন্দরে। দল পুরনির্বাচনে টিকিট দেয়নি। আর তার জেরেই ৩ হেভিওয়েট প্রাক্তন কাউন্সিলর মাঠে নেমে পড়েছেন নির্দল প্রার্থী হিসাবে। ঘটনাচক্রে সেই ৩জনের মধ্যে ২জন আবার দলনেত্রীর বিধানসভা কেন্দ্রে থাকা দুটি ওয়ার্ড থেকে লড়াই করছেন। আর তার জেরেই দলে অস্বস্তি ছড়িয়েছে পূর্ণমাত্রায়। কিন্তু চুপ করে বসে থাকেনি শাসক দলও। নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে দল যে কড়া পদক্ষেপ নেবে সেই বার্তা দিতেই এবার সুর নরম করলেন ৩জনের মধ্যে ১জন। শুধু সুর নরম করাই নয়, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকও করলেন। তারপরেই তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করার ইঙ্গিত দিলেন। কিন্তু বাকি দুই এখনও অনড়। তাই কাঁটার অস্বস্তি থেকেই যাচ্ছে শাসক শিবিরে।
নজরে রতন মালাকার। কলকাতাব পুরনিগমের দুই দশকের কাউন্সিলর তিনি। ২০১৫ সালে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। অথচ দল এবারে তাঁকে টিকিট দেয়নি। পরিবর্তে ওই ওয়ার্ডে টিকিট পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই ওই ওয়ার্ড থেকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়াই করার জন্য নেমে পড়েছিলেন রতম মালাকার। কিন্তু পরিস্থিতির বদল ঘটে বৃহস্পতিবার রাতে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল রাতেই বৈঠকে বসেন রতনবাবুরর সঙ্গে। আর সেই বৈঠক শেষেই রতনবাবু নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন প্রত্যাহার করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। সেই মতো এদিন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেও নিয়েছেন এই বিদ্রোহী নেতা। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘ভুল হয়েছিল নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে। আবেগের বশে করে ফেলেছিলাম। তৃণমূলের সঙ্গেই থাকব। কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়েই প্রচার করব।’
তবে বাকি দুই নির্দল প্রার্থী ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের তনিমা চট্টোপাধ্যায় এখনও অনড় আছেন নির্দল হিসাবে লড়াই করার জন্য। সচ্চিদানন্দবাবু যেমন কলকাতা পুরনিগমের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তেমনি তনিমাদেবী রাজ্যের সদ্য প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন। স্বাভাবিক ভাবেই এই দুই হেভিওয়েট নেতানেত্রীকে ঘিরে তৃণমূলের অন্দরে অস্বস্তি থেকেই যাচ্ছে।