নিজস্ব প্রতিনিধি: বই বিক্রিতে রেকর্ড করতে চলেছে এবারের বইমেলা। ৪৫ বছরের ইতিহাসে বেশি টাকার বই বিক্রি করে রেকর্ডের পথে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধনের পর থেকে বইপ্রেমীদের ভিড় লেগে আছে বাঙালির আবেগের এই মেলায়। হুহু করে বিকোচ্ছে দেশি-বিদেশি নামী-অনামী লেখকের গল্প উপন্যাস থ্রিলার। লাভের মুখ দেখায় প্রকাশনা সংস্থাগুলির মালিকদের মুখে চওড়া হচ্ছে হাসি। সারাদিন ধরে বই বিক্রিতে ব্যস্ত থাকায় কথা বলার ফুসরত পাচ্ছেন না বহু স্টলের কর্মীরা। গিল্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতা বইমেলায় এসেছেন ১৩ লক্ষ বইপ্রেমী। বুধবার পর্যন্ত যা বই বিক্রি হয়েছে সেই টাকার পরিমাণ ১১ কোটিরও বেশি! এই টাকার পরিমাণ ৪৫ বছরের বইমেলার ইতিহাসে সর্বোচ্চ বলেই মনে করা হচ্ছে।
বর্তমানে অনলাইন নির্ভর পঠন পাঠনে অভ্যস্ত হয়েছেন বহুমানুষ। যার দরুণ অনেকে মনে করেছিলেন ক্রমশ কাগজের বই বাজার হারাবে। কিন্তু বইমেলায় এমন বিপুল অঙ্কের টাকার বই বিক্রি বলে দিচ্ছে কাগজের বই তার প্রাসঙ্গিকতা ধরে রেখেছে। গুগলের যুগে এখনও নতুন প্রজন্ম শব্দের অর্থ ভেদ করতে হাতে তুলে নিচ্ছে দেব সাহিত্য কুটিরের অভিধান। বইমেলায় স্টলে কর্মরত ওই প্রকাশনী সংস্থার এক কর্মীর কথায়, প্রায় চল্লিশ বছর ধরে বই বিক্রি করছি, এমন বিক্রি আগে দেখিনি। দেজ, মিত্র ও ঘোষ, দীপ প্রকাশন, লেখা, হরফ প্রকাশনী, সংস্কৃত পুস্তক ভাণ্ডার, মল্লিক ব্রাদার্স এর স্টলেও দেখা গেল ক্রেতারা নিজেদের পছন্দের বই চেয়ে নিচ্ছেন কর্মীদের থেকে। শিশু সাহিত্য সংসদ, পত্রভারতীর স্টলেও ভিড় হচ্ছে বইপ্রেমীদের। পত্রভারতীর কর্নধার তথা গিল্ড-কর্তা ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেন, ২০২০ সালের নিরিখে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বিক্রি বেশি হচ্ছে পত্রভারতীতে। বই বিক্রিতে ওই সংস্থা ৪৫ বছরের রেকর্ড ভাঙছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।