নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাংলার রাজনীতির মূল কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। ২০১১ সালে সিঙ্গুর,নন্দীগ্রামে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাংলায় সরকার গড়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এখান থেকেই স্পষ্ট যে ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের মূল লক্ষ্যই হল নন্দীগ্রাম। আগামী ২৫ মে ষষ্ট নির্বাচন রয়েছে নন্দীগ্রামে। তারআগে বুধবার তৃণমূলের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য হয়ে নন্দীগ্রামে প্রচার সভা করলেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷
এদিন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড বলেন,’একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির দলদাস কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং শাগরেদ নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে লোডশেডিং করে চারটে ইভিএম সরিয়ে মানুষের জনমতকে কারচুপি হয়। এই ঘটনার যোগ্য জবাবের দিন ২৫ মে। তারপরই এই খেলা শেষ হবে।‘ গত ২০২১ সালে নন্দীগ্রাম থেকে লড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু, দীর্ঘ টানাপড়েন শেষে সেখান থেকে যেতে শুভেন্দু অধিকারী ৷ কিন্তু এরপর ভোটে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ করে তৃণমূল। তাই ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের নন্দীগ্রামে ভোটের কারচুপি নিয়ে সরব হলেন অভিষেক।
অন্যদিকে বুধবার সভা থেকে অভিষেক নাম না করে বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেন। সেখানে তিনি বলেন,’ এখানকার বিধায়ক ভিতু। সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে আবেদন করেছিল, অন্য হাইকোর্ট যাতে মামলা সরে যায়।‘ পাশাপাশি এদিনের সভা থেকে বুথে কারচুপি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। তিনি জানান, ‘ভোটের দিন ৮০টা বুথে কারচুপি করার পরিকল্পনা আছে বিজেপির। ওদের লোক আমায় বলেছে। ভোট দিতে বাধা দিলে রুখে দাঁড়াবেন।‘ একই সঙ্গে অভিষেকের ভবিষ্যদ্বাণী করেন এবারে অন্তত দু’লক্ষ ভোটের ব্যবধানে তমলুক থেকে জিতবে দেবাংশু।