নিজস্ব প্রতিনিধিঃ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর রহস্য জট বেড়েই চলেছে। প্রথম বর্ষের বাংলা বিভাগের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডু মৃত্যুর ঘটনায় ১০ জন ছাত্রকে ডাকা হয় থানায়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেন ডেপুটি কমিশনার। জানা গিয়েছে তাঁরা কেউই থানায় উপস্থিত হয়নি। ফলে বিব্রত পুলিশ। পাশাপাশি হোস্টেল সুপারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
জানা গিয়েছে, এক ছাত্র রাতে ডিন অফ স্টুডেন্টস’কে ফোন করে কিছু একটা হচ্ছে বলে জানায়। এরপরেই ডিন অফ স্টুডেন্টস হোস্টেল সুপারকে ফোন করে। তবে হোস্টেল সুপার নাকি জানিয়েছিলেন, অস্বাভাবিক কিছুই হয়নি। এতেই সুপারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
পুলিশের স্ক্যানারে রয়েছে ওই ১০ ছাত্র, যাদের ডাকা সত্ত্বেও তাঁরা হাজির হয়নি। পাশাপাশি কিসের ভিত্তিতে হোস্টেল সুপার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বললেন, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।জানা গিয়েছে, এমনকি ত্যারপরেও অনেক ছাত্র ডিন অফ স্টুডেন্টকে ফোন করেছিলেন। তিনি ফোনের উত্তর দেননি। ফলে এই বিষয়টিও নজরে রয়েছে পুলিশের।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ভোরে মারা যায় স্বপ্নদীপ। তাঁকে হোস্টেলের নীচে উলঙ্গ অবস্থায় পাওয়া যায়। এই মৃত্যুর নেপথ্যে র্যাগিং রয়েছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছেই। ইতিমধ্যেই স্বপ্নদীপের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং স্বপ্নদীপের বাবাকে ফোন করেন। ঘটনার তদন্তে রয়েছে পুলিশ। কোন যোগসূত্রই এই মুহূর্তে উড়িয়ে দিতে পারছেননা পুলিশ।