নিজস্ব প্রতিনিধি: খাস কলকাতার বুকে সরকারি হাসপাতাল চত্বরে রাতভর চলল বাজি পোড়ানো। সঙ্গে বাজল মাইকও। সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতে সময় লাগেনি এতটুকুও। আর তার জেরেই এখন কাঠগড়ায় হবু ডাক্তাররা। ঘটনাস্থল কলকাতার নীলরতন সাহা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। সেখানেই বুধবার রাতে হাসপাতাল চত্বরের মধ্যেই মাইক বাজিয়ে আতসবাজি পুড়িয়ে বিজয়োল্লাসে মেতে উঠেছিলেন হবু ডাক্তাররা। তার জেরেই এখন তাঁরা সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
ঠিক কী হয়েছে? চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই নীলরতন সাহা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে বিভিন্ন বর্ষের ইন্টার্নদের মধ্যে টুর্নামেন্ট চলছিল। বুধবার ছিল ফাইনাল। বিকেলের মধ্যেই সেই খেলা শেষ হয়। আর সন্ধ্যা থেকেই হাসপাতাল চত্বরে থাকা অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং সংলগ্ন মাঠে শুরু হয় বিজয়োৎসব। সেখানেই উচ্চস্বরে বেজেছে মাইক, ফেটেছে দেদার শব্দবাজিও। অথচ যে মাঠে এই ঘটনা ঘটেছে তার পাশেই রয়েছে হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ড। যেখানে রোগীরা ভর্তি রয়েছেন। আর এখানেই উঠেছে প্রশ্ন। হাসপাতাল চত্বরে হবু ডাক্তাররা কীভাবে কোভিডবিধি লঙ্ঘণ করে এই ঘটনা ঘটালেন সেই নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর পরিজনদের দাবি, বুধবার রাতভর কার্যত বিজয়োৎসব চলেছিল। দেদার আতশবাজি তো ফাটানো হয়েইছে সেই সঙ্গে উচ্চস্বরে বেজেছে হিন্দি গান। শব্দ আর ধোঁয়ায় ঢাকা পড়েছিল হাসপাতাল চত্বর।
ঘটনার জেরে এনআরএসের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন জানিয়েছেন, ‘আনন্দের বহিঃপ্রকাশ থাকে। তবে স্থান-কাল বিচার করা উচিত। অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে বিষয়টি নিয়ে। রোগী কল্যাণ সমিতির আগামী বৈঠকে পুলিশের উপস্থিতিতেও এ নিয়ে আলোচনা করা হবে।’ হাসপাতাল তথা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ শৈবাল মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনার কথা জানতে পারি। পড়ুয়াদের থেকে লিখিত উত্তর চাওয়া হয়েছে। কে বা কারা এ কাজ করেছেন, ওঁদের উত্তর থেকে তা জানার পরে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতভর বিজয়োল্লাস চলার পরেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তো বটেই পুলিশের পক্ষ থেকেও কোনও রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যদিও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় খবর পাওয়ার পরেই সেখানে পুলিশ আটকাতে গিয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসক পড়ুয়ারা পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে।