নিজস্ব প্রতিবেদক: চোরাশিকারীরা ভাল্লুক-শাবকদুটিকে চুরি করে নিয়ে গিয়েছিল। তাদের হাত থেকে বন দফতরের আধিকারিকরা শাবকদুটিকে উদ্ধার করে। উদ্ধারের পর ওই ভাল্লুক-শাবকদুটির ঠিকানা হয় আলিপুর চিড়িয়খানা(Alipore Zoological Garden)। সেখানেই বেড়ে উঠছে ছোট্ট প্রাণীগুলি। দু’মাস যখন ওই শাবকদুটির বয়স তখন মায়ের কোল থেকে চোরাশিকারীরা তাদেরকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।
চলতি বছরের গত মাসে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাসনাবাদ থেকে দুটি ভাল্লুকের(Bear) শাবক উদ্ধার করা হয়েছিল। দুটি শাবকই পুরুষ। তাদেরকে বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্য ছিল বলে জানতে পেরেছেন বন দফতরের আধিকারিকরা। উদ্ধারের সময় তাদের বয়স ছিল দু মাস। দুটি শাবকের মধ্যে একটির ওজন ছিল এ কেজি এবং অন্যটির ওজন ছিল প্রায় আড়াই কেজি। যখন তাদের চিড়িয়াখানায় প্রথম নিয়ে আসা হয় সেই সময় ভালো ভাবে হাঁটতে পারত না। প্রথমে কেবল দুধ ছাড়া অন্য কিছু না খেলেও এখন তাদের খাদ্য তালিকায় দুধের সঙ্গে অন্যান্য খাবারও যুক্ত হয়েছে। চিড়িয়াখানায় তাদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে স্যারাল্যাক্সের সঙ্গে গোবিন্দভোগ চালের ভাত। তার সঙ্গে মাখিয়ে দেওয়া হয় দুধ, কলা। আর তা দিব্বি চেটেপুটে খেয়ে নেয় শ্লথ প্রজাতির দুটি ভাল্লুক শাবক। এখন দুটি শাবকের ওজন যথাক্রমে ছয় কেজি এবং সাড়ে চার কেজি।
চিড়িয়াখানায় আগে থেকে একটি শ্লথ ভাল্লুক রয়েছে। দু’টি শাবক আসার পর সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনটিতে। যদিও তাদের এখন দর্শকদের সামনে নিয়ে আসা হবে না বলে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে। আরও একটু বয়স বাড়লে তারপর দর্শকদের দেখার জন্য সুযোগ দেওয়া হবে। আপাতত আলাদা ঘরে তাদের রাখা হয়েছে। আলিপুর চিড়িয়াখানার অধির্কতা আশিসকুমার সামন্ত বলেন, “ভাল্লুকের শাবক দু’টি সুস্থ আছে। এখন তো খুব দুষ্ট হয়ে উঠেছে। দিনরাত ঘরে দুষ্টুমি করে বেড়ায়। কর্মীদের নাজেহাল করে ছাড়ছে।’’