নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে পালাবদলের পর বাংলা সঙ্গীতমেলা ও বিশ্ববাংলা লোকসংস্কৃতি উৎসবকে বিশ্বের দরবারে নিয়ে যেতে বিশেষ উদ্যোগী হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই প্রতিবছরেই বিশাল সমারোহে পালন করা হয় বাংলা সঙ্গীতমেলা ও বিশ্ববাংলা লোকসংস্কৃতি উৎসব। চলতি বছরেও বড়দিনের দিন থেকে শুরু হয়েছে সেই উৎসব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই অন্য মাত্রা ও জনপ্রিয়তা পায় এই উৎসব।
২৫ ডিসেম্বর শুরু হয়েছে বাংলা সঙ্গীতমেলা এবং বিশ্ববাংলা লোকসংস্কৃতি উৎসব। রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে চলছে এই উৎসব। কলকাতার মোট ১১টি মঞ্চে আয়োজিত হয়েছে এই দুই উৎসব। রবীন্দ্রসদন, শিশির মঞ্চ, ফণিভূষণ বিদ্যাবিনোদ যাত্রামঞ্চ, হেদুয়া পার্ক, মধুসূদন মুক্তমঞ্চ, একতারা মুক্তমঞ্চ, দেশপ্রিয় পার্ক, রাজ্য সঙ্গীত অ্যাকাডেমি মুক্তমঞ্চ, বড়িশা ক্লাব ময়দান, চারুকলা পর্ষদ এবং সল্টলেকের রবীন্দ্র-ওকাকুরা ভবনে চলছে সঙ্গীত মেলার আসর। যা চলতি বছরেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে বর্তমান সরকারের হাত ধরেই।
প্রতিবছরই রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ এই দুই মেলা করে থাকে। তবে গত বছর করোনা সংক্রমণের জেরে তা সম্ভব হয়নি। এবার ফের মেলা ফিরছে কোভিডবিধি মেনে। কলকাতা-সহ জেলার সঙ্গীতশিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন এই মেলায়। পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মশালায় অংশ নিয়ে থাকে নবীন প্রজন্মের শিল্পীরা। প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে শুরু হচ্ছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি সঙ্গীতশিল্পী, যন্ত্রশিল্পী ও সঞ্চালকরা অংশ নিচ্ছেন এই দুই মেলায়। দেশপ্রিয় পার্কে সঙ্গীত পরিবেশনের সুযোগ পাচ্ছে বাংলার খ্যাতনামা বাংলা ব্যান্ড ও এবং নবীন ব্যান্ডগুলি। আর বড়িষা ক্লাব ময়দানে রয়েছে বিভিন্ন স্টল। সেখানে পাওয়া যাচ্ছে সঙ্গীত বিষয়ক বিভিন্ন পুস্তক ও সিডি। প্রত্যেক জায়গাতেই ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলেই জানা যাচ্ছে।