নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ব্যাপক হারে বেড়েছে করোনার সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে যাঁদের বাড়িতে করোনা রোগী রয়েছে তাঁদের অত্যধিক সচেতনতার মধ্যে থাকতে হচ্ছে। বাড়িতে আইসোলেটেড রোগীর সঙ্গে বাকিরাও কোয়ারেন্টিন যাপন করছেন। এই সময়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে করোনা রোগীর যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি নিজেদেরও সাবধানতার ঘেরাটোপে রেখেছেন সকলে। গবেষণা বলছে বাড়িতে করোনা রোগী থাকলে বিশেষভাবে সতর্ক হতে হবে বাড়ির শৌচালয় নিয়ে। কারণ সেখানেই থাকে সবথেকে বেশি করোনার জীবাণু ।
অভিজ্ঞমহলের মতে, বাতাসের আদ্রতার মাত্রার উপরে নির্ভর করেই ঘরের বিভিন্ন প্রান্তে বেঁচে থাকে করোনার জীবাণু। বাতাসে আদ্রতার মাত্রা যদি খুব কম হয় অর্থাৎ ৪০ শতাংশের কম হলে সেখানে ৫ সেকেন্ড মত বাতাসে এই জীবাণু বেঁচে থাকতে পারে। বাতাসের আদ্রতা কোথাও ৪০ শতাংশের বেশি হলে সেখানে ১০ সেকেন্ড মত বেঁচে থাকতে পারে করোনার জীবাণু। কিন্তু শৌচালয়ে এই জীবাণু বেঁচে থাকে দীর্ঘক্ষণ। ওই আদ্র পরিবেশে সর্বোচ্চ সময় বেঁচে থাকতে পারে করোনার জীবাণু।
গবেষকদের মত, করোনার সমস্ত ভ্যারিয়েন্টের জীবাণুই প্রায় ২০ মিনিট পর্যন্ত শৌচালয়ে সক্রিয় থাকতে পারে। তাই বাড়িতে করোনা রোগী থাকলে তাঁর ব্যবহার করার প্রায় ২০ মিনিট পর সেই শৌচালয় বাড়ির অন্য সদস্যদের ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন অভিজ্ঞমহল।
এর পাশাপাশি অবশ্যই করোনা রোগীর ব্যবহারের পর বাড়ির অন্য কেউ সেই শৌচালয় ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই ভালোভাবে স্যানিটাইজ করুন। প্রয়োজনে জীবাণুনাশক দিয়েও শৌচালয় পরিস্কার করে নিতে পারেন।