নিজস্ব প্রতিনিধিঃ করোনার থাবায় জর্জরিত সমগ্র বিশ্ব। বিগত প্রায় দুই বছরেরও বেশী সময় ধরে এই মারণ ভাইরাসের তাণ্ডবে ত্রস্ত্র গোটা মানব জাতি। কীভাবে এই ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পয়া যাবে সেই উপায় খুঁজে বের করতেই সমগ্র বিশ্বের তাঁবর তাঁবর বিজ্ঞানীরা রাতভর গবেষণা চালাচ্ছেন। করোনার হাত থেকে বাঁচতে মাস্ক, স্যানেটাইজার হয়ে উঠেছে জীবনের একটি অঙ্গ। কিন্তু সব করোনা বিধি এবং নিয়ম নীতি মেনে চলার পরেও প্রতিদিন দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ এই মারণ ভাইরাসের কবলে পড়ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই মুহূর্তে করোনার হাত থেকে বাঁচার এবং সুস্থ থাকার একটাই রাস্তা, নিজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। এমতাবস্থায় সব থেকে চিন্তার বিষয় হল, এই পরিস্থিতিতে শিশুদের কীভাবে সুস্থ রাখা যাবে? কিন্তু সম্প্রতি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যদি কোনও শিশুকে প্রতিদিন রুপোর পাত্রে খাবার খাওয়ানো হয় তাহলে একদিকে যেমন তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় অন্যদিকে তারা আরও অনেক শারীরিক সমস্যার হাত থেকেও মুক্তি পায়।
আসুন জেনে নিই রুপোর পাত্রে খাবার খাওয়ার গুনাগুণ;
রোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম রুপো
বাচ্চাদের যখন প্রথম অন্ন খাওয়ানো হয়, তখন রুপোর চামচ দিয়ে খাওয়ানোর প্রথা প্রচলিত রয়েছে। এর বিজ্ঞানসম্মত কারণ হল রুপো নানান রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করার শক্তি যোগায়। রুপোর পাত্রে খাবার খেলে বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
খাবারের গুণগত মান বৃদ্ধি পায়
প্লাস্টিক বা অন্য কোনও বাসনে খাবার খেলে একদিকে যেমন খাবারের গুণগত মান কমে যায় অন্যদিকে খাবারের সঙ্গে ওই সমস্ত জিনিসের বিষাক্ত ক্যামিক্যাল মিশতে পারে। কিন্তু রুপোর পাত্রে বাচ্চাদের খাবার দিলে রুপো যেমন একদিকে খাবারের মধ্যেকার ব্যাক্টিরিয়া ধ্বংস করে অন্যদিকে রুপোর বাসনে খাবার সতেজ থাকে।
জল শুদ্ধ করে
রুপোর বাসনে জল রাখলে এতে উপস্থিত ব্যাক্টিরিয়া শেষ হয়ে যায়। এর ফলে জল শুদ্ধ হয়। তাই বাচ্চাদের রুপোর গ্লাসে জল পান করানো উচিত। ছোট বাচ্ছাদের দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে তাই অনেকেই রুপোর ঝিনুক ব্যবহার করতেন।
চোখের জন্য উপকারী
চোখের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে রুপো। আবার যাঁদের রাগ বেশি, তাঁরা যদি রুপোর বাসন ব্যবহার করে তা হলে উপকার পেতে পারে। কারণ রুপো মানুষের শরীর ঠাণ্ডা করতেই কাজে লাগে।