নিজস্ব প্রতিনিধি, ওয়াশিংটন: ঐতিহাসিক টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ চাক্ষুস করতে গিয়ে মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারিয়েছেন ওশানগেট পরিচালিত ডুবোজাহাজ ‘টাইটান সাবমার্সিবল’-এর পাঁচ আরোহী। অতলান্তিক মহাসাগরের কয়েক হাজার ফুট নিচে বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ডুবোজাহাজে থাকা পাঁচ আরোহীর দেহ উদ্ধারের আশা ছেড়ে দিয়েছে মার্কিন উপকূল রক্ষী বাহিনী। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে মার্কিন উপকূল রক্ষী বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মুগের বলেছেন, ‘ডুবোজাহাজে থাকা পাঁচ আরোহীর মৃতদেহ হয়তো কখনই পাওয়া যাবে না।’
টানা চার দিন ধরে তল্লাশি অভিযান চালানোর পরে এদিন বিকেলে অতলান্তিক মহাসাগরে নিখোঁজ থাকা ডুবোজাহাজ ওশানগেট টাইটান সাবমার্সিবলের প্রেসার চেম্বার ও বেশ কিছু ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পেয়েছে তল্লাশি অভিযানে নামানো রিমোট অপারেটেড ভেহিকেল (আরওভি)। তলের তলায় থাকা টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের ১,৬০০ ফুট দূরে ওই ডুবোজাহাজের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করে আরওভি। তখনই উদ্ধারের কাজ তদারকিতে থাকা আধিকারিকরা নিশ্চিত হন, জলের তলাতেই বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ডুবোজাহাজটি। সেই সঙ্গে সলিল সমাধি ঘটেছে পাঁচ আরোহীরও।
টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারানো ব্রিটিশ ধনকুবের হামিশ হার্ডিং, পাকিস্তানি ধনকুবের শাহজাদা দাউদ ও তাঁর ছেলে সুলেমান দাউদ, ডুবোজাহাজটির মালিক ওশানগেটের সিইও স্টকটন রাশ এবং পল অঁরি নাজোলের দেহ খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা যে কম সে কথাও জানিয়ে দিয়েছেন মার্কিন উপকূল রক্ষী বাহিনীর মুখপাত্র জন মুগের। তাঁর কথায়, ‘অতলান্তিকের বুক থেকে পাঁচ পর্যটকের দেহ উদ্ধার করা ভীষণ কঠিন কাজ। হয়তো কোনও দিনই ওই দেহ খুঁজে পাওয়া যাবে না। চিরতরে জলের নিচেই মিলিয়ে যাবেন তাঁরা।’