নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: হিন্দুধর্মের জন্য মোদি সরকার কতটা উদার ও মুক্তহস্ত, ফের একবার তার জলজ্যান্ত উদাহরণ মিলল। মাদার টেরিজা প্রতিষ্ঠিত মিশনারিজ অব চ্যারিটির বিদেশি অনুদান নেওয়ার ছাড়পত্র বাতিল করা অমিত শাহের মন্ত্রক রামমন্দির নিয়ে উল্টোপথে হাঁটল। রামমন্দির পরিচালন সমিতি শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট্রকে মন্দিরের জন্য বিদেশি অনুদান নেওয়ার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বুধবার মাইক্রো ব্লগিং সাইট ‘এক্স’-এ (পূর্বতন টুইটার) এ কথা জানিয়েছেন অযোধ্যার শ্রীরামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেই একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বিদেশি অনুদান নেওয়ার অনুমতিপত্র খারিজ করে দিয়েছিলেন অমিত শাহ। তার মধ্যে যেমন রয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর স্মরণে তৈরি ‘রাজীব গান্ধি ফাউন্ডেশন’ ও ‘রাজীব গান্ধি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’, তেমনই রয়েছে মাদার টেরিজা প্রতিষ্ঠিত ‘মিশনারিজ অফ চ্যারিটি’। এছাড়া ‘অক্সফ্যাম’-সহ যে সব স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পরিচালকরা মোদি সরকারের জনবিরোধী নীতির সমালোচনায় সরব হয়েছেন, তাদের লাইসেন্সও বাতিল করে দিয়েছেন। সব ক্ষেত্রেই একই যুক্তি হাজির করেছেন দেশের ‘সবজান্তা’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যদিও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই মোদি সরকারের শক্তিমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তৈরি ‘রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন’ ও ‘রাজীব গান্ধী চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’, ‘অক্সফ্যাম’-এর মতো সংস্থার বিদেশি অনুদান নেওয়া সংক্রান্ত লাইসেন্স বাতিল করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিন ‘এক্স’ হ্যান্ডলে অযোধ্যার শ্রীরামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই লিখেছেন, ‘শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে ২০১০ সালের বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন (‘ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট’ বা এফসিআরএ) সংক্রান্ত লাইসেন্স পেয়েছে।’