নিজস্ব প্রতিনিধি, ডাবলিন: ক্ষমতা ভাগাভাগির শর্ত অনুযায়ী আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর কির্সিতে বসলেন সমকামী হিসেবে পরিচিত ভারতীয় বংশোদ্ভুত লিও ভরাদকার। শনিবার দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন। মিখাইল মার্টিনের স্থলাভিষিক্ত হলেন লিও। প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে আসীন হওয়ার পরে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘আয়ারল্যান্ডের সাধারণ মানুষকে সুসময় উপহার দিতে যাবতীয় পদক্ষেপ নেব। এক নতুন যুগের সূচনা করব।’ আয়ারল্যান্ডের ইতিহাসে এমন ঘটনা নজিরবিহীন বলেই জানিয়েছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
২০২০ সালে আয়ারল্যান্ডের সংসদ নির্বাচনে কোনও দলই সরকার গড়ার মতো প্রয়োজনীয সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে সাংবিধানিক সঙ্কট দেখা দেয়। সেই সাংবিধানিক সঙ্কট এড়াতে মধ্য ও ডানপন্থী হিসেবে পরিচিত তিন রাজনৈতিক দল। তার মধ্যে অন্যতম হল লিও ভরাদকারের ফাইন গাইল এবং বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মার্টিনের ফিয়ান্না ফেইল। শর্ত ছিল, ভাগাভাগি করে প্রধানমন্ত্রীর পদ সামলাবে দুই দল। জোট সরকারের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন মিখাইল মার্টিন। আর উপ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন লিও ভরাদকার।
আয়ারল্যান্ডের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রেকর্ড আগেই গড়েছিলেন লিও। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছিলেন। ডাবলিনে জন্মগ্রহণকারী লিও ভরাদকারের বাবা পেশায় ছিলেন চিকিৎসক। তিনি ভারত থেকে আয়ারল্যান্ডে এসেছিলেন। কর্মসূত্রে পরিচিত এক আইরিশ নার্সের সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজ থেকে ডাক্তারি ডিগ্রি অর্জনের পরে প্র্যাকটিশও শুরু করেছিলেন লিও। ২০০৭ সালে জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে। ডাবলিন পশ্চিম থেকে ফাইন গেইলের হয়ে ভোটে লড়েন। পরে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন। করোনার কালবেলায় প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা দিতে ফের ডাক্তারি শুরু করেন।