নিজস্ব প্রতিনিধি: জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে ফুটবল সম্রাট পেলে। চিকিৎসকরা স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন, খুব একটা আশা নেই। কেমোথেরাপি কাজ করছে না। অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গও বিকল হচ্ছে। তাই তিনবার বিশ্বকাপজয়ী ৮২ বছরের ফুটবলারকে রাখা হয়েছে প্যালিয়াটিভ কেয়ারে। অর্থাৎ মৃত্যুপথযাত্রীদের জন্য তৈরি ইউনিটে। কিন্তু কী এই প্যালিয়াটিভ কেয়ার?
একাধিক ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, যখন কোনও ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী চিকিৎসায় সাড়া না দেন অর্থাৎ কোনও ওষুধ কিংবা চিকিৎসা পদ্ধতি কাজ না করে তখনই সংশ্লিষ্ট রোগীকে প্যালিয়াটিভ কেয়ারে রাখা হয়। রোগীর শরীরে যে সমস্যা দেখা যাচ্ছে, তা থেকে তিনি যাতে কষ্ট না পান, যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন যাতে আরামে থাকতে পারেন সেই চেষ্টা চালানো হয়। প্যালিয়াটিভ কেয়ারে পাঠানো মানেই যে রোগীর বেঁচে থাকার আর আশা নেই, তা নয় বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের মতে, ‘প্যালিয়াটিভ কেয়ারে কেয়ারে রাখা মানে রোগীর বেঁচে থাকার আশা নেই তা নয়। এক বছরের বেশি সময়েও বেঁচে থাকতে পারেন। কিন্তু সবটাই নির্ভর করছে রোগীর শরীর কতটা চিকিৎসা নিতে পারছে তার উপরে।’
গত ৩০ নভেম্বর হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা ও শরীর ফুলে যাওয়ার কারণেই সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ক্যান্সার আক্রান্ত ফুটবল সম্রাটকে। শুক্রবারও পেলের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৮২ বছর বয়সী ফুটবলারের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। এমনকী ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়ে শারীরিক অবস্থা ‘স্থিতিশীল’ জানিয়ে প্রার্থনা ও শুভকামনার জন্য ভক্তদের ধন্যবাদ জানান তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার। কিন্তু শনিবার আচমকাই শারীরিক অবস্থা বিগড়ে যায়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না কিংবদন্তী ফুটবলার। যে কোনও মুহুর্তে দুঃসংবাদ পাওয়ার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে।