নিজস্ব প্রতিনিধি: যৌনতায়ও নাকি আছে বৈষম্য। যৌনতা নাকি আজও প্রধানত পুরুষের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। নারীর মতামত বা ইচ্ছেকে সেখানে নাকি গুরুত্বই দেওয়া হয় না। যৌনতার ক্ষেত্রে এই বৈষম্য ঘোচাতে এবার উঠে পড়ে লেগেছে সুইডেন(Sweden)। সেই সূত্রেই তাঁরা চালু করছে European Sex Championship। ইউরোপের বুকে তো বটেই গোটা বিশ্বের বুকে এই ধরনের প্রতিযোগিতা এই প্রথম। আর শুনলে জানলে অবাক হয়ে যাবেন, গর্ববোধও করতে পারেন যে, এই প্রতিযোগিতার অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে আমাদের ভারতের(India) মহান ঋষি বাৎস্যায়নের রচিত ‘কামসূত্র’(Vatsayana Kamasutra)। কামকে সুইডেনের সরকার যৌনতা হিসাবে দেখতে চাইছে না। তাঁদের চোখে কাম হল এক ধরনের Physical and Mental Sports। তাই প্রতিযোগিতার আয়োজন। সুইডেনের গথেনবার্গ শহরে আগামী ৮ জুন থেকে এই প্রতিযোগিতা শুরু হতে চলেছে।
সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ২০ জন প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন এই খেলায়। ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স, ব্রিটেন, পর্তুগাল, ক্রোয়েশিয়া, স্লোভেনিয়া, ইউক্রেন, গ্রিস, রোমানিয়া এবং ফিনল্যান্ডের বাসিন্দারা যেমন এই প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছেন তেমনি আবেদন এসেছে পাকিস্তান, নেপাল, রাশিয়া, মিশর, ইজরায়েল, ইরাক, ইরানের পাশাপাশি ভারত থেকেও। বাৎস্যায়নের দেশ থেকে একাধিক আবেদন গিয়েছে প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার জন্য। প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে আবেদন এখনও নেওয়া হচ্ছে। চাইলে আপনিও কিন্তু নাম দিতে পারেন। প্রতিযোগিতার তত্ত্বাবধানে থাকছে Swedish Sex Federation বা SSF। প্রতিযোগিতার সরাসরি সম্প্রচার করা হবে একটি ওয়েবসাইটেও। প্রতিযোগিতা চলবে বেশ কয়েক সপ্তাহ জুড়ে।
প্রতিযোগিতার উদ্যোক্তাদের দাবি, যৌনতা ও কামে শারীরিক কসরতের সঙ্গে যে আনন্দ, মাধুর্য ও শিল্প রয়েছে, কামসূত্রের ব্যাখ্যা মেনেই তা তুলে ধরার প্রয়াস এই প্রতিযোগিতায়। একই সঙ্গে তাঁরা সেক্সকে পুরুষের বল প্রয়োগের জায়গা থেকে বার করে এনে এতে নারীর অংশগ্রহণ ও ইচ্ছেকে সমান গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টিকে তুলে ধরতে চান। উদ্দীপনা থেকে মিলন ছাড়াও প্রতিযোগিতায় মোট ১৬ ধরনের বিষয় বিচার করা হবে। যার মধ্যে বিভিন্ন ভঙ্গিমা যেমন রয়েছে, তেমনই থাকছে রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দন মাপার প্রক্রিয়া। যৌনতায় কোন যুগল কল্পনাকে কতদূর মেশাতে পারছেন, দেখা হবে সেটাও। প্রেম যেমন নীরবে আসে, শারীরিক আলোড়নও অনেকটা তেমনই। আপাতত জানা গিয়েছে, প্রতিযোগিদের দিনে অন্তত ৬ ঘণ্টা খেলা চালাতে হবে। এক-একটি ম্যাচ ৪৫ থেকে ৬০ মিনিটের। বিচারকদের হাতে ৩০ শতাংশ এবং দর্শকের হাতে প্রতিযোগীদের পারফরম্যান্স বিচারের ৭০ শতাংশ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। যোগদাতারা প্রতিযোগিতা-পর্বে একটি বাড়িতে থাকবেন। বাড়ি জুড়ে থাকছে ক্যামেরা। ২৪x৭ তাতে ধরা পড়বে তাঁদের কর্মকাণ্ড। তারই লাইভ স্ট্রিমিং হবেন একটি ওয়েবসাইটে।