নিজস্ব প্রতিনিধি : নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে কে ‘দেশনায়ক’ হিসাবে আখ্যা দিয়েছিলেন জানেন? তিনি হলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯৩৯ সালের ১৯ আগস্ট মহাজাতি সদনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে নেতাজিকে ‘দেশনায়ক’ হিসাবে আখ্যা দিয়েছিলেন কবিগুরু। কবিগরুর সঙ্গে বসু পরিবারের সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত গভীর।
রাজনৈতিক জীবনে বহুবার কবিগুরুকে পাশে পেয়েছেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। কবিগুরুর বিশ্বাস ছিল, দেশের চালিকাশক্তি হিসাবে নেতাজি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারবে। জানা যায়, ১৯৩৮ সালে সুভাষচন্দ্র বসুকে কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পর ১৯৩৯ সালে ফের তাঁকে নির্বাচিত করার জন্য সুপারিশ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। যদিও কবিগুরুর এই পরামর্শ একেবারেই ভালোভাবে নেননি গান্ধীজি। জানা যায়, ১৯৩৯ সালের ২১ জানুয়ারি গান্ধীজির মনোনীত প্রার্থীকে পরাজিত করে সুভাষচন্দ্র দ্বিতীয়বার কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর সুভাষচন্দ্রকে শান্তিনিকেতনের আম্রকুঞ্জে বরণ করে নিয়েছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ। যদিও সভাপতি হিসাবে টিকে থাকা বেশিদিন সম্ভব হয়নি সুভাষচন্দ্রের। ১৯৩৯ সালের ২৯ এপ্রিল পদত্যাগ করতে হয় নেতাজিকে।
নেতাজিকে রবীন্দ্রনাথ অত্যন্ত স্নেহ করতেন, তেমনি নেতাজিও রবীন্দ্রনাথের প্রতি খুবই শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। রবীন্দ্রনাথকে বিশ্বকবি হিসাবে আখ্যা দিয়েছিলেন নেতাজি। বিশ্বকবির সঙ্গে বসু পরিবারের সম্পর্ক যে কতটা নিবীড় ছিল, তার প্রমাণও পাওয়া যায়। ১৯৪১ সালে ১৬-১৭ জানুয়ারি রাতে মহানিষ্ক্রমণের পর নেতাজির সম্পর্কে জানতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। নেতাজির ইউরোপে চলে যাওয়ার খবর আসার পর নেতাজির দাদা শরৎচন্দ্র বসু শান্তিনিকেতনে গিয়ে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। পরে শরৎবসু জানিয়েছিলেন, নেতাজি কোথায় গিয়েছেন, সেই খবরটা রবীন্দ্রনাথকে না বলে তিনি পারেননি।