নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০০৪ সালের পর ২০২৩। ১৯ বছর বাদে ডুরান্ড ফাইনালে ফের মুখোমুখি দুই চিরশত্রু ইস্টবেঙ্গল আর মোহনবাগান। আজ রবিবার খেতাব জয়ের লক্ষ্য নিয়ে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে নামছে দুই দল। আর ওই ম্যাচ ঘিরে ফুটবল জ্বরে আক্রান্ত গোটা বাংলা। টিকিটের জন্য চলছে হাহাকার। দর্শকঠাসা যুবভারতীতে চিংড়ি আর ইলিশের লড়াইয়ে শেষ হাসি কে হাসে, তা জানতে আর কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা মাত্র।
২০০৪ সালে শেষবার ডুরান্ড ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই শত্রু শিবির। সেবার অবশ্য অধিনায়ক চন্দন দাসের জোড়া গোলে শেষ হাসি হেসেছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। এবারেও গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। নন্দকুমারের গোলে যুবভারতীতে টানা আট বার ডার্বি হারার পরে জয়ের মুখ দেখেছিল ইস্টবেঙ্গল। এখনও পর্যন্ত দুই দলই ১৬ বার করে ডুরান্ড জিতেছে। আজকে যে দল ট্রফি গড়ে তুলবে, সেই দলই প্রতিপক্ষকে ট্রফি জয়ের নিরিখে টেক্কা দিয়ে যাবে।
যদিও ফাইনালের আগে অতশত ভাবতে রাজি নন টানা নয়বার ইস্টবেঙ্গলকে ডার্বি হারের লজ্জা থেকে বাঁচানো ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। তাঁর কথায়, ‘আমাদের কাছে প্রতিটি ম্যাচই সমান গুরুত্বপূর্ণ। ভাল পারফর্ম করে ম্যাচ জেতাটা লক্ষ্য ছিল। এত বাধা অতিক্রম করে আমরা ফাইনালে পৌঁছতে পারব, সেটা ভাবিনি। দল যেভাবে লড়াই করছে, তাতে আমি গর্বিত।’ গ্রুপ লিগে লাল-হলুদের কাছে হেরে যাওয়া মনে রাখতে রাজি নন বাগানের স্প্যানিশ কোচ জুয়ান ফেরান্দোও। ডুরান্ড ফাইনালকে তিনি চূড়ান্ত লক্ষ্য হিসাবে ভাবতে রাজি নন। বরং অন্যান্য ম্যাচের মতোই রবিবার তাঁর ছেলেরা স্বাভাবিক খেলা খেলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।