নিজস্ব প্রতিনিধি: চোট সারিয়ে জাতীয় দলে ফিরেই গোল মেশিন হয়ে উঠেছেন নেইমার জুনিয়র। আগের দিনই বলিভিয়ার বিরুদ্ধে জোড়া গোল করে ফুটবলের রাজা পেলেকে টপকে গিয়েছিলেন ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার। হলুদ-সবুজ জার্সিতে দেশের হয়ে সর্বাধিক গোল করার রেকর্ড গড়েছেন। আর মঙ্গলবার পেরুর বিরুদ্ধে জয়সূচক গোল করার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখলেন ৩১ বছর বয়সী তারকা ফুটবলার।
কাতার বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল সাম্বার দেশকে। ওই হারার পরে চোটের কারণে ব্রাজিলের হয়ে মাঠে নামতে পারেননি নেইমার। বলিভিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচে প্রথম নেমেছিলেন। ওই ম্যাচে জ্বলে ওঠার পরে মঙ্গলবার ফের স্বমহিমায় দেখা গেল ব্রাজিলের তারকা ফুটবলারকে। ব্রাজিল-পেরুর ম্যাচটি শুরু থেকেই আক্রমণ ও প্রতি আক্রমণে জমে উঠেছিল। ম্যাচের ১৫ পেরুর জালে বল জড়ান ব্রাজিলের রাফিনহো। সেলসাওরা যখন গোলের উল্লাসে মাতোয়ারা তখনই দেখা যায় অফসাইডের কারণে গোল বাতিল করেছেন রেফারি। কেননা ভিআরে দেখা যায়, ক্যাসেমিরো বল বাড়ানোর আগেই অফসাইডে চলে যান নেইমার ও রদ্রিগো। এর পরে ২২ মিনিটে পেরুর ডি-বক্সের মধ্য থেকে রিচার্লিসনের নেওয়া হেড পোস্টের সামান্য বাইরে থেকে বেরিয়ে যায়। ২৮ মিনিটে ব্রুনো গুইমারেসের কাছ থেকে পাওয়া বল দৃষ্টিনন্দন হেডের সাহায্যে পেরুর গোলে জড়ান রিচার্লিসন। কিন্তু ওই গোলও অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির পরেগোলের জন্য তেড়েফুড়ে নামেন সেলসাওরা। অন্যদিকে পেরুর খেলোয়াড়রা ঘরের মাঠে ব্রাজিলের গোল আটকাতে রক্ষণকে দুর্ভেদ্য করে তোলেন। একাধিকবার নেইমার-রদ্রিগো-রিচার্লিসনদের আক্রমণ পেরুর রক্ষণ দুর্গে এসে প্রতিহত হয়। সবাই যখডন ধরে নিয়েছেন পয়েন্ট নষ্ট করেই মাঠ ছাড়তে হবে ব্রাজিলকে, তখনই ভেল্কি দেখান নেইমার। ৯০ মিনিটের মাথায় নেইমারের কর্ণার কিক থেকে উড়ে আসা ক্রসে মাথা ঠেকিয়ে পেরুর জাল কাঁপান মারকুইনহোস। ওই গোলে জিতেই মাঠ ছাড়ে সেলসাওরা।