নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: করোনার জেরে দেশজুড়ে যখন লকডাউন, সেই সময় রাস্তা খোঁড়াখুড়ির কাজে ব্যস্ত ছিলেন রামবাবু। পরিস্থিতি তাঁকে ওই কাজ করতে বাধ্য করেছিল। কারণ, ওই কাজ করে যে আয় হবে, সেটাই তাঁর ভাতের ব্যবস্থা করবে। মা স্বপ্ন দেখতেন, ছেলে একদিন পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করবে। উজ্জ্বল করবে গ্রামের নাম। মায়ের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। জাতীয় গেমসে ম্যারাথনে প্রথম পুরস্কার জয় করে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছে তাঁর ছেলে। পাঠকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যাক এই পদকজয়ীর।
পদক জয় করেছেন উত্তরপ্রদেশে সোনভদ্রের বাসিন্দা রামবাবু। যদিও সেই যাত্রাপথ মোটেই মসৃণ ছিল না। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বেনারসের একটি হোটেলে ওয়েটারের কাজ করতেন। লকডাউনে চাকরি যাওয়ায় অন্ন সংস্থানের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন রামবাবু। কাজ পান একটি কুরিয়ার সংস্থায়। কাজ ছিল ব্যাগ সেলাই করা। কাজ করার সময় আচমকাই দুর্ঘটনার মুখে পড়েন। সেই কাজও ছাড়তে হয়েছে। ইতোমধ্যে করোনা তাঁর দাপট দেখাতে শুরু করে। অন্যদিকে, রামবাবুর দরকার ছিল রোজগারের। তাই, বাধ্য হয়ে তাঁকে রাস্তা খোঁড়াখুড়ির কাজ শুরু করতে হয়। এত লড়াইয়ের পরেও ম্যারাথনে নামার স্বপ্ন ভুলে যাননি। কাজ শেষের পর শুরু হত অনুশীলন, নিয়ম করে।
নর্দান কোলফিল্ড অ্যাথলিটদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ শিবির খোলে। রামবাবুও সেই প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেন। নজরে পড়েন এক কোচের। সেখান থেকে ঘুরতে শুরু করে জীবনের অভিমুখ। জাতীয় গেমসে পদক জয়ে আর তাঁকে পিছনে ঘুরে তাকাতে হবে না।