নিজস্ব প্রতিনিধি: বয়স যে তাঁর কাছে শুধুমাত্রই সংখ্যা, ফের বুঝিয়ে দিলেন ফুটবলের রাজপুত্র লিওনেল মেসি। গত বছর কাতার বিশ্বকাপে ৩৬ বছর বাদে আর্জেন্টিনার ট্রফি খরা কেটেছিল তাঁর পায়ের জাদুতে। বৃহস্পতিবার আগামী বিশ্বকাপের জন্য বাছাই পর্বের ম্যাচেও ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে দল জিতল তাঁর গোলে। নীল-সাদা জার্সিধারীদের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক।
ম্যাচের শুরু থেকেই এদিন ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। প্রথমার্ধে বল দখলেও প্রতিপক্ষের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে ছিল বিশ্বকাপ জয়ীরা। যদিও ইকুয়েডরের গোল লক্ষ্য করে একটিও শট নিতে পারেননি মেসিরা। লাতিন আমেরিকার দেশটির রক্ষণ ভেদ করতে পারেননি। আর্জেন্টিনা প্রথম গোলের সুযোগ পেয়েছিল ম্যাচের ১৬ মিনিটে। বক্সের এক কোণায় বল পেয়েছিলেন মেসি। কিন্তু যে শট নেন তা পোস্টের অনেক বাইরে থেকে বেরিয়ে যায়। প্রথমার্ধের শেষ লগ্নে লাওতারো মার্তিনেজের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবে শেষ হওয়ায় দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোলের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন মেসি-এনজো ফার্নান্দেজরা। মুহুর্মুহু আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে ইকুয়েডরের রক্ষণ ভাগ। অবশেষে ৭৮ মিনিটে কাঙ্খিত গোল পায় বিশ্বকাপজয়ীরা। ৭৭ মিনিটে আর্জেন্টিনার লাওতারো মার্তিনেজকে নিজেদের বক্সের বাইরে ফাউল করেন ইকুয়েডরের মাঝমাঠের খেলোয়াড় ময়জেদ কাইসাদো। ফ্রি-কিক দেন রেফারি। প্রায় ২০ গজ দূর থেকে মেসির বাঁকানো ফ্রি কিক ইকুয়েডর গোলকিপার এরনান গ্যালিন্দেজকে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়ায়। উল্লাসে মেতে ওঠেন আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। শেষ পর্যন্ত ওই গোলে জিতেই মাঠ ছাড়ে বিশ্বকাপজয়ীরা। কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পরে এ নিয়ে মোট পাঁচটি ম্যাচ খেললেন মেসিরা। পাঁচ ম্যাচেই জয় পেলেন। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের এ নিয়ে টানা ২২ ম্যাচ অপরাজিত রইল আর্জেন্টিনা।