নিজস্ব প্রতিনিধি: ঘরে-বাইরে প্রচণ্ড চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন স্পেনের ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস। রবিবার সমাজমাধ্যম ‘এক্স’ হ্যান্ডলে (পূর্বতন টুইটারে) নিজের ইস্তফার কথা জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে বেনজির তৎপরতায় ফিফার সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত এবং বিভিন্ন মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মনে হয়েছে, পদ আঁকড়ে থাকা উচিত নয়। তাই ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ রুবিয়ালেসের ইস্তফার কথা জানতে পেরেই কার্যত উৎসবে মেতেছেন স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী মহিলা ফুটবলাররা।
গত ২০ অগস্ট সিডনির অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে মহিলা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। ফাইনাল ম্যাচের পরে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো ও স্পেনের রানি ইলতিজিয়ার উপস্থিতিতে আচমকাই পদক নিতে আসা স্বদেশীয় ফুটবলারদের জড়িয়ে ধরে অভিনন্দন জানান স্পেনের ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট লুইস রুবিয়ালেস। কিন্তু জেনিফার হারমোসোর ক্ষেতরে বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলেন। জোর করে চুমু খান তিনি। স্পেনের ফুটবল কর্তার ওই আচরণ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
সমালোচনার মুখে পড়ে রুবিয়ালেস দাবি করেন, হারমোসোর সম্মতি নিয়েই চুমু খেয়েছিলেন। যদিও চুমু খাওয়ার জন্য সম্মতি দেওয়ার কথা অস্বীকার করেন স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী দলের মিডফিল্ডার। গোটা ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো স্যাঞ্চেজ। বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়ে তড়িঘড়ি স্পেনের ফুটবল ফেডারেশনের প্রধানকে ৯০ দিনের জন্য সাময়িক নির্বাসিত করে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা ফিফা। গত মঙ্গলবারই স্পেনের অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে গিয়ে রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে জোর করে চুমু খাওয়ার মামলা দায়ের করেন জেনিফার হারমোসো। আর তাতে চাপে পড়েই শেষ পর্যন্ত ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন স্পেনের ফুটবল প্রধান।