নিজস্ব প্রতিনিধি: এতদিনে স্বস্তি পেল পাকিস্তানের সমর্থকরা। এবার হয়তো সকলেই শান্তির ঘুম ঘুমাবেন।
না, বিশ্বকাপে অপরাজিত তকমাটা আর অক্ষত রাখতে পারল না ভারত। রবিবার দুবাইতে ঘুচল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টিম ইন্ডিয়ার অপরাজিত থাকার তকমা। সালটা ছিল ১৯৯২, সেই বছর প্রথমবারের জন্য বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। ওই বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হলেও ভারতের কাছে হারতে হয়েছিল ইমরান খানের টিমকে। বর্তমান পাক দলের অধিনায়ক বাবর আজমের তখন জন্মও হয়নি। তার বছর দু’য়েক পর পৃথিবীর আলো দেখেছিলেন বাবর। আর ওপেনে তাঁর সঙ্গী তখনও দুনিয়াতে আসেননি। তাঁরা সবটাই শুনে বড় হয়েছেন।
কিন্তু মরু শহরে এই দুই তরুণ ক্রিকেটারই বদলে দিলেন পাক ক্রিকেটের লজ্জার ইতিহাসকে। টি-২০ বিশ্বকাপের মঞ্চে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে ১০ উইকেটে উড়িয়ে দিল পাকিস্তান।
ব্যাট এবং বল উভয় ক্ষেত্রেই দাপট দেখাল বাবর আজম অ্যান্ড কোম্পানি। অতীতের লজ্জা ঢেকে সৃষ্টি হল সবুজ বিপ্লবের। কোহলিদের হারানোর জন্য দেশবাসীর কাছে শপথ নিয়েছিল পাক দল। আর বাবর, শাহিন, হাফিজ, ইমাদরা সেই কথা রাখলেন। সকলেই নিজের সেরাটা দিলেন। যার ফলে দীর্ঘদিনের জ্বালা মেটাল ইমরান খানের দেশ।
টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাক অধিনায়ক বাবর। আর সেটাকে রীতিমতো কার্যকারী করে দেন শাহিন আফ্রিদি। এই তরুণ পেসার ওপেনার রোহিত শর্মা এবং কে এল রাহুলকে ফিরিয়ে দিয়ে ভীষণ চাপে ফেলে দেন ভারতকে। পরে অধিনায়ক বিরাট কোহলির (৫৭) উইকেটটাও তাঁরই ঝুলিতে যায়। ফলে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন শাহিদ আফ্রিদির হবু জামাই।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৫১ রান তোলে টিম ইন্ডিয়া। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাবর আজম (৬৮) এবং মহম্মদ রিজওয়ানের (৭৯) ব্যাটের ওপর ভর করে ১৭.৫ ওভারেই ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান।