আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেও হেরে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল মার্করাম, ভ্যান ডার ডুসেনদের। মঙ্গলবার দ্বিতীয় ম্যাচে গতবারের বিশ্বকাপ জয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অনয়াসে হারিয়ে দিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০ বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নিয়ে কাঙ্খিত জয় হাসিল করল মার্করামরা। যার ফলে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছনোর দরজা খোলা রইল দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ। কচ্ছপের গতিতে ব্যাট করে দলকে বিপদে ফেলে দেন লেন্ডল সিমন্স। অথচ উল্টো দিকে একের পর এক ছক্কা হাঁকিয়ে মাত্র ৩২ বলে অর্ধশতরান করেন এভিন লুইস। ১০ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সংগ্রহ করে বিনা উইকেটে ৬৫ রান। ৩৫ বলে তিনটি চার ও ছয়টি ছয়ের সাহায্যে ৫৬ রান করে প্রথমে সাজঘরে ফেরেন লুইস। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা নিকোলাস পুরানও তেমন সুবিধে করতে পারেননি (৭ বলে ১২)। ৩৫ বল খেলে মাত্র ১৬ রান সংগ্রহ করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সিমন্স। পর পর তিন উইকেট পড়ে যাওয়ায় কিছুটা চাপে পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্রিস গেইল বেশিক্ষণ টিঁকে থাকতে পারেননি। ১২ বলে ১২ রান করে আউট হন। আন্দ্রে রাসেলের ব্যাট থেকেও রান আসেনি। ৪ বলে ৫ রান করে আউট হন তিনি। অধিনায়ক কাওরান পোলার্ড ২০ বলে ২৬ ও অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার ডোয়েন ব্রাভো ৫ বলে ৮ রান করেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান সংগ্রহ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
জয়ের জন্য ১৪৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ওভারেই ২ রান করে আউট হয়ে যান প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। আর তাতেই ম্যাচ জয়ের বিষয়ে আশাবাদী হয়ে ওঠেন পোলার্ড-ব্র্যাভোরা। কিন্তু তাঁদের সেই আশায় জল ঢেলে দেন অন্য ওপেনার রিজা হেনড্রিকস। ৩০ বলে চারটি বাউন্ডারি আর একটি ছক্কার সাহায্যে ৩৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। দলকে জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেন রসি ভ্যান ডার ডুসেন আর এইডেন মার্করাম। তৃতীয় উইকেটে ৫৪ বলে ৮৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন তারা। ডুসেন দেখেশুনে খেললেও মার্করাম ছিলেন বিধ্বংসী। ২৬ বলে দুটি চার আর চারটি ছক্কার সাহায্যে শেষ পর্যন্ত ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ডুসেনের সংগ্রহ ৫১ বলে ৪৩ রান।