নিজস্ব প্রতিনিধি: তাঁকে পেলে (PELE) নামে বিশ্ব চিনেছে অনেক পরে। তাঁর আসল নাম আজও অনেকে জানেন না, পারিবারিক নাম এডসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো। তিনি চির উজ্জ্বল হয়েছেন গত বৃহস্পতিবার। বেলে ও পেলের অজানা গল্প কি জানেন? ৮২ বছরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা তিনটি বিশ্বকাপ জয়ী কিংবদন্তির ক্লাব ফুটবল ক্যারিয়র ২১ বছরের। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়র ১৪ বছরের।
বাল্যকাল থেকেই তাঁর পায়ে উঠেছিল ফুটবল। তখন পাড়ার মাঠ বা রাস্তাই ছিল তাঁর অন্যতম সঙ্গী। জাতীয় দলের জার্সি তাঁর গায়ে উঠেছিল মাত্র ১৬ বছর বয়সেই। স্ট্রাইকার, গোলকিপার বা দু’পায়ের জাদু, সবেতেই তিনি ছিলেন সেরা। তাঁকে ডাকা হত ‘বেলে’ নামে। কেন এই নাম? পেলের বাবার সঙ্গে খেলতেন গোলরক্ষক বেলে। সেই বেলে থেকেই এডসনকে একজন ডাকতেন বেলে নামেই। আর বেলে নাম ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছিল ‘পেলে’। তবে এডসন পছন্দ করতেন পারিবারিক নামটিই। কারণ এই নামের সঙ্গে মিল ছিল বিজ্ঞানী ও আবিষ্কারক থমাস আলভা এডিসনের। ‘পেলে’ নামের কোনও মানে তিনি জানতেন না প্রথমে। তাই এই নাম নিয়ে অপমান বোধ করতেন। পরে জানতে পারেন এই নামের মানে ‘অলৌকিক’। তারপর থেকেই বড় পছন্দের হয়ে ওঠে এই নাম। আর এই নামেই তাঁকে চেনেন আপামর বিশ্ব। শুধু ফুটবল নয়, তাঁর প্রিয় ছিল আড্ডাও।
তাঁর রয়েছে আরও একটি নাম, ‘ও রেই’। ফরাসি ভাষা ‘লি রয়’ থেকে এসেছে ‘ও রেই’ নামটি। ১৯৫৮ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পরে তাঁকে ভালোবেসে এই নাম দেওয়া হয়েছিল।