নিজস্ব প্রতিনিধি: নির্মলা সীতারমণের ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বাজেটকে তীব্র ভাবে আক্রমণ শানালেন বাংলার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তাঁর অভিমত এই বাজেট দিশাহীন, লক্ষ্যহীন, হতাশাময়, শূন্যগর্ভ বাজেট। এই বাজেট আমজনতার জন্য নয়, এই বাজেট দেশের ধনী মানুষদের আরও ধনী করে তোলার বাজেট। অমিতবাবুর সঙ্গে মোটামুটি একমত দেশের তাবড় তাবড় অর্থনীতিবিদরাও। কেননা এই বাজেটে আমজনতার জন্য কোনও কথাই বলা হয়নি। কোভিডে ক্ষতিগ্রস্থ, চাকরি হারানো, চাকরি না পাওয়া আমজনতার উন্নয়নের জন্য কোনও শব্দও খরচ করা হয়নি। বেকার যুবক-যুবতীরা কীভাবে কোন কোন ক্ষেত্রে চাকরি পাবেন তার কোনও কথাই বলা হয়নি। শুধু ৬০ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আমজনতার আয়ের কোনও কথাই বলা হয়নি। এমনকি করের ক্ষেত্রেও কোনও ছাড় দেওয়া হয়নি। করকাঠামোও একই রাখা হয়েছে।
অমিতের দাবি, দেশের মানুষ এখন কোভিডের দরুন সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ। অনেক মানুষ তাঁদের নিকট স্বজনকে হারিয়েছেন। তাঁদের জন্য কোনও ক্ষতিপূরণ বা প্রকল্প চালুর কথা ঘোষণা করা হয়নি। যে পরিযায়ী শ্রমিকেরা কোভিডের জন্য সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তাঁদের জন্য একটি শব্দও খরচ করেননি দেশের অর্থমন্ত্রী। লকডাউনে যারা চাকরি হারিয়েছেন তাঁদের জন্যও এই বাজেটে কোনও কথা বলা হয়নি। যারা চাকরি খুঁজেও পাচ্ছেন না তাঁদের জন্যও কোনও প্রকল্পের কথা বলা হয়নি। প্রবীণ মানুষদের জন্য কোনও প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়নি। যে সব ব্যবসায়ীরা লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তাঁদের ব্যবসা চাঙ্গা করার জন্য কোনও আর্থিক প্যাকেজের উল্লেখ নেই এই বাজেটে। সব থেকে বেশি উপেক্ষিত হয়েছে গ্রামের মানুষ। এই সরকার ভুলে গিয়েছে গ্রামের অর্থনীতিই ভারতের অর্থনীতির মূল স্তম্ভ। সেখানে মানুষের হাতে নগদ নেই। দেশের অর্থবিদরা বারভ বার বলছেন আমজনতার হাতে সরাসরি নগদের যোগান বাড়িয়ে বাজারে তাঁদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে। কিন্তু সেই বিষয়ে কিছুই ঘোষণা করলেন না নির্মলা। উল্টে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বরাদ্দ অর্থ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রাম থেকে শহর, তরুণ থেকে প্রবীণ, নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত কারোর জন্য এই বাজেটে কিছু নেই। আছে শুধু ধনীদের কথা।