নিজস্ব প্রতিনিধি: গত সোমবারেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (SUVENDU ADHIKARY) পাড়ি দিয়েছিলেন দিল্লি। মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারী বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (AMIT SHAH) সঙ্গে। শুভেন্দুর করুণ আর্জি, এবার বঙ্গে সিএএ কার্যকর করা হোক। তবে, সেই প্রশ্নে তেমন আমল দেননি শাহ। সূত্রের খবর, এই একান্ত বৈঠক হয়েছিল প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে। সেখানে শুভেন্দুকে ‘পথ চলতে’ কিছু পরামর্শও দেন শাহ।
জানা গিয়েছে, শুভেন্দু অধিকারী অমিত শাহকে বলেন, সিএএ কার্যকর করলে বিজেপির ভোট বাড়বে। সেই কথায় বিশেষ গুরুত্ব দিতে এখন নারাজ অমিত শাহ। তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে বিশেষ জোর দিতে। বঙ্গ বিজেপির দায় ছাড়া আন্দোলনে মোটেই খুশি নন শাহ, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি নিজেই। উল্লেখ্য, এতবড় ইস্যুর পর মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তৃণমূল দলও সমস্ত পদ থেকে সরিয়েছে পার্থকে। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, আগামিকাল মন্ত্রিসভায় শপথ নেবেন নতুন ৫-৬ মুখ। দলের দায়িত্ব দেওয়া হবে বর্তমান ক্যাবিনেটে থাকা ৪-৫ জনকে। আগামিকাল শপথ নেবেন নতুন মন্ত্রীরা। মন্ত্রিসভা ও দলকে ‘স্বচ্ছ থাকা’র কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জোর দিয়েছেন মন্ত্রিসভার ও দলের কাজে। বোঝাই যাচ্ছে, আবারও রাজ্য জুড়ে ঘুরে ব্যাপক জনসমর্থন আদায় করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো নিজে। তাই ‘বঙ্গ বিজেপির ঢিলেমি’তে অসন্তুষ্ট অমিত শাহ। সামনে যে লোকসভা ভোট, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন।
আবার বামেদের পক্ষ থেকে জোরদার প্রচার চালানো হচ্ছে, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আন্দোলন ও মামলা তারাই করেছে। বিজেপি আন্দোলন হাইজ্যাক করতে চাইছে। এই অবস্থায় ‘চাপে’ পড়েছে বিজেপি। অন্যদিকে, বঙ্গ বিজেপির মধ্যেই ‘আন্দোলন বিমুখতা’ ত্রুটি দেখছেন বিজেপির একাংশ। শাহী বার্তা, এখন আন্দোলনেই জোর দিক বাংলার পদ্মশিবির।
এদিকে, বারবার প্রকাশ্যে এসেছে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব। রাজনৈতিক মহলে চেনা খবর, শুভেন্দু- সুকান্ত- হিরণ আর উল্টোদিকে দিলীপ। অন্যদিকে আবার বিজেপির উলুবেড়িয়ার সভা বাতিল- বাতিল হয়েছে কালী পুজো- বাতিল উলুবেড়িয়ায় ডাকা পুলিশ সুপার অভিযান। বর্তমানে উঠে আসছে সুকান্ত মজুমদার- অমিতাভ চক্রবর্তী ‘জোট’- এর কথা। এখন একটু আলগা শুভেন্দু- সুকান্ত ‘জোড়’। সবমিলিয়ে বাংলার গেরুয়া শিবিরের ‘ব্যর্থতা’ আর ‘অন্তর্দ্বন্দ্ব’তে ক্ষুব্ধ শাহ। তিনি শুভেন্দুকে শিখিয়ে দিলেন ‘ঠিক ভাবে পথ চলা’। তবে ছবিতে দু’জনকে দেখা গেল হাসি মুখেই। গোপন বৈঠকের কথা নইলে ফাঁস হবে যে!