এই মুহূর্তে




বাংলাদেশ থেকে আক্রমণের আশঙ্কা, শিলিগুড়িতে সক্রিয় করা হল ‘সুদর্শন চক্র’




নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়িঃ ‘অপারেশন সিঁদুর’ আবহে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা বলয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ‘চিকেন নেক’ বা ‘শিলিগুড়ি করিডর’। এবার ‘শিলিগুড়ি করিডর’- এর সুরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করল ভারতীয় সেনা। অত্যাধুনিক ‘এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম’ অর্থাৎ ‘সুদর্শন চক্র’ নিয়ে প্রস্তুত জওয়ানরা। বাংলাদেশের নতুন করে পাকিস্তান প্রীতি, লাগাতার ভারত-বিরোধী উস্কানি ও চিন নির্ভরতা বাড়তে থাকায় অনেক আগেই ‘শিলিগুড়ি করিডর’-এর নিরাপত্তা জোরদার করেছিল ভারতীয় সেনা। তাই ‘অপারেশন সিঁদুর’ আবহে বাংলাদেশ থেকে আক্রমণের আশঙ্কা তীব্র হতেই শিলিগুড়িতে সক্রিয় করা হর ‘সুদর্শন চক্র’ অর্থাৎ ‘এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম’।

পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতজুড়ে ‘ওয়ার মোডে’ রাখা হয়েছে অত্যাধুনিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম S-400 ট্রায়াম্ফ অর্থাৎ সুদর্শন চক্রকে। যেটি যুদ্ধবিমান, ড্রোন, হেলিকপ্টার এবং ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে একেবারে ওস্তাদ। অপারেশন সিঁদুর-অভিযানে পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের ৯ টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তার বদলা নিতে বুধবার ভারতের উপর একাধিক মিসাইল ছুড়ে হামলা চালিয়েছিল শাহবাজ শরিফের সেনারা। সেগুলিই ধ্বংস করে দিয়েছিল রাশিয়ার তৈরি এই অত্যাধুনিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম S-400 ট্রায়াম্ফ অর্থাৎ সুদর্শন চক্র। প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে পাকিস্তানের ছোড়া মিসাইল ধ্বংস করেছিল এই সুদর্শন চক্র। তাই এবার ‘শিলিগুড়ি করিডর’- এর সুরক্ষায় ভারতীয় সেনাদের একমাত্র ভরসা সুদর্শন চক্র। ইতিমধ্যেই দেশের অন্যান্য জোনের মতো ইস্টার্ন কমান্ডেও ‘হাইটেন্ড অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে। সুতরাং গোটা ভারতবর্ষ যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত। আর দেশকে রক্ষা করতে অত্যাধুনিক অস্ত্রে সেজে উঠেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এ আবহে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়, যে, কেন ‘চিকেন নেক’ বা ‘শিলিগুড়ি করিডর’ গুরুত্বপূর্ণ?

আসলে ‘চিকেন নেক’ মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করেছে উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্যকে (সেভেন সিস্টার্স)। যার মধ্যে আছে নেপাল, বাংলাদেশ, ভুটান এবং চিন-তিব্বত। তাই শিলিগুড়ি করিডরকে ‘বিচ্ছিন্ন’ করার চক্রান্ত দীর্ঘদিন ধরেই চালাচ্ছে শত্রুদেশগুলি। সেই কারণেই ‘চিকেন নেকের’ সুরক্ষা নিয়ে বাড়তি ব্যবস্থা নিচ্ছে ভারতীয় সেনা। বাংলাদেশে ইউনুস সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নানারকম ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। বিশেষ করে, কোচবিহার জলপাইগুড়ি জেলা লাগোয়া বাংলাদেশের রংপুর ডিভিশনের লালমনিরহাটে পূর্ণাঙ্গ সামরিক বিমান ঘাঁটি তৈরি করতে চাইছেন ইউনুস সরকার। এমনকী পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরও লালমনিরহাট বায়ুসেনা ঘাঁটি সদলবলে পরিদর্শনও করেছেন। তাই চিকেন নেক বা শিলিগুড়ি করিডর বেয়ে বাংলাদেশের আক্রমণের রয়েছে চরম, তা রুখতেই আগেভাগে ‘সুদর্শন চক্র’ নিয়ে প্রস্তুত জওয়ানরা।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

উত্তরবঙ্গ-দিঘা রুটে স্পেশাল ভলভো বাস চালানোর ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

টিটাগড়ে বিস্ফোরণকাণ্ডে কাউন্সিলর-সহ গ্রেফতার তিন জন

২২ মে’র মধ্য তৈরি হবে নিম্নচাপ, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যে ঝড়-বৃষ্টি চলবে

‘এটা দিনহাটা নয়..’, উদয়ন গুহকে সমঝে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

সরকারের ওপরে ভরসা রাখার বার্তা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর

“পুলিশ যদি ট্যাক্স তোলে…”, উত্তরবঙ্গের বাণিজ্য সম্মেলন থেকে কড়া বার্তা মমতার

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ