নিজস্ব প্রতিনিধি,বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার বিহারীনাথ পাহাড় সংলগ্ন একটি হোটেলে নিষিদ্ধ মাদক খাইয়ে এক যুবতিকে দুজন যুবক ধর্ষণ(Rape) করে বলে অভিযোগ ।সেই নির্যাতিতাকে শুক্রবার দুর্গাপুরের ই এস আই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও এখনো পর্যন্ত নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে কোন পুলিশি অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী আসানসোলের মহিলা থানায় পুলিশের তরফ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।শনিবার সকালে দুর্গাপুরের ই এস আই হাসপাতালে(ESI Hospital) নির্যাতিতা সঙ্গে দেখা করতে যান দুর্গাপুর পশ্চিম বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়াই। নির্যাতিতার সাথে দেখা করতে বাধা দেওয়ায় হাসপাতালের সামনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি বিধায়ক। সদল বলে গেটের সামনে বসেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন বিধায়ক(MLA)।

পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালে পৌঁছায় নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ। জানা গেছে, দুর্গাপুর থানা এলাকার এক যুবতী যার মামা বাড়ি আসানসোলের বার্নপুরে। সেখানে আসানসোল গার্লস স্নাতক বিভাগে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সে। গত তিন থেকে চার মাস আগে যুবতী মামা বাড়ি থেকে চলে আসে ।অভিযোগ চলতি মাসের ১৩ তারিখে সে আবারও মামার বাড়িতে যায়। সেখানে তার মামাতো তিন বোনের সাথে বাঁকুড়ার শালতোড়ার বিহারীনাথ পাহাড় ঘুরতে যায় ।সেখানেই দুই যুবক তার ওপর যৌন নির্যাতন করে এর পরবর্তীতে তারা আসানসোলে ফিরে এলে তার মামার মেয়ে এবং ও যুবকেরা তাকে মুখ বন্ধ রাখতে বলেন। পরবর্তীতে শারীরিক অসুস্থতা বোধ করলে তার মামা তাকে আসানসোলের এক হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসককে এবং তার ছোট মামাকে ঘটনা জানিয়ে দেন।

এর পরবর্তীতে মহিলা পুলিশ এসে ওই ছাত্রীর সাথে কথা বলে অভিযোগ দায়ের করে। এর পরবর্তীতে আসানসোল থেকে দুর্গাপুর হাসপাতালে(Durgapur Hospital) আনবার সিদ্ধান্ত নেন যুবতির পরিবার ।এর পরবর্তীতে দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর বাধা মুখে পড়েন বিধায়ক ।বচসা শুরু হয়।ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধর্ণায় বসে যান বিজেপি বিধায়ক(BJP MLA)। হসপিটাল সুপার জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করার কোনো নিদান নেই। আমরা সে কথাই জানিয়েছিলাম বিধায়ককে ।অপরদিকে তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ বলেন, যে বিরোধী এভাবেই রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করে থাকে একজন অসুস্থ মানুষকে নিয়ে এরূপ রাজনীতি করা উচিত নয়। এটা সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে না। আমরা নির্যাতিতার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি এবং অভিযুক্তদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।