নিজস্ব প্রতিনিধি: পুরসভা এলাকায় সকালবেলা হলেই বাঁশি বাজিয়ে ডাম্পার কিংবা ময়লা তোলার লোক হাজির হয়। বাড়ির দৈনিক আবর্জনা সেখানে দিয়ে মুক্ত হন বাসিন্দারা। সেই আবর্জনা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে দেন পুরসভার সাফাই কর্মীরা। কিন্তু পঞ্চায়েত এলাকায় সেই পদ্ধতি নেই বললেই চলে। তবে মিশন নির্মল বাংলার সুবাদে কিছু কিছু অঞ্চলে শুরু হয়েছে এই কাজ। যার একধাপ এগিয়ে বিশেষ পদক্ষেপ নিলেন ডোমজুড়ের বিধায়ক তথা হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কল্যাণ ঘোষ।
মিশন নির্মল বাংলার আর্থিক বরাদ্দে বালি-জগাছা পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় আবর্জনা তোলার ই-ডাম্পার গাড়ি প্রদান করলেন কল্যাণবাবু। সেই গাড়ি গুলি প্রতিনিয়ত এলাকার বাড়ির ময়লা সংগ্রহ করে চাঁদমারি স্টেশনের কাছে ফেলা হবে। আর সেখানেই শেষ নয়, বাড়ির ময়লা আবর্জনা গুলি চাঁদমারি স্টেশন থেকেই সার হিসেবে তৈরি করা হবে ও সেখান থেকে সেই সার সোজা চলে যাবে কৃষকদের হাতে। এই গোটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এলাকায় আবর্জনা মুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলাই লক্ষ্য বিধায়ক কল্যাণ ঘোষের। এদিন বালি-জগাছা পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আটটি ই-ডাম্পার গাড়ি প্রদান করেছেন তিনি। পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কথা মাথায় রেখেই ইলেকট্রনিক গাড়িই দেওয়া হয়েছে ময়লা তোলার কাজে।
এই বিষয়ে ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘শুধুই ময়লা তোলার কাজ নয়। এই ই-ডাম্পারে এলাকার ড্রেন ও নিকাশি নালা পরিষ্কার করা হবে। যার মাধ্যমে এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থা ভালো হবে ও মশা-মাছির উপদ্রব থেকে রক্ষা পাবেন এলাকাবাসী। পঞ্চায়েত এলাকায় এই প্রকল্প নতুন।’ এদিনের অনুষ্ঠানে বিধায়ক কল্যাণবাবুকে ই-ডাম্পার গাড়ি চালাতেও দেখা গিয়েছে।