নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ই-শ্রম কার্ড করে দেওয়ার নামে এবার প্রতারণার শিকার হলেন কৃষকরা। এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ঝাঁটিপাহাড়ি স্টেশনে। জানা গিয়েছে, শ্রমিকদের ই-শ্রম কার্ড করে দেওয়ার নামে আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড সহ বায়োমেট্রিক সংগ্রহ করেছে অভিযুক্তরা। তাঁরা নিজেদের রেলওয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মী হিসাবে পরিচয় দিতেন শ্রমিকদের কাছে। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার সেই ১০ জনকে গ্রেফতার করল ছাতনা থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দুই ২৪ পরগণা জেলার বাসিন্দা ওই ব্যক্তিরা ই-শ্রমের কার্ড তৈরী করে দেওয়ার নামে প্রতারণার চেষ্টা করছিল। বিষয়টি ছাতনা থানায় জানালে পুলিশ অভিযুক্তদের আটক করে নিয়ে যায়। পরে গ্রেফতার করে। ধৃতদের বিরুদ্ধে আইপিসি ৪২০/৪০৬/৪১৭/১২০ বি ও ৩৪ আইপিসি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। বুধবার ধৃত ১০ জনকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হলে তাদের ৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। আগামী ২ ডিসেম্বর অভিযুক্তদের ফের আদালতে তোলা হবে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের বাড়ি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। তাদের প্রকৃত পরিচয় জানার চেষ্টা চালানোর পাশাপাশি শ্রমিকদের নথিপত্র ও বায়োমেট্রিক সংগ্রহের আসল উদ্দেশ্য জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, আধার কার্ড- বর্তমানে আমাদের সকলের জীবনেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। এই আধার কার্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকে ইউজারের বায়োমেট্রিক তথ্য যেমন- আঙুলের ছাপ, চোখের মণির ছবি। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, হ্যাকাররা এইসব বায়োমেট্রিক তথ্য হাতিয়ে নিয়েও ইউজারদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলছে। তাই আধার কার্ডের এইসব বায়োমেট্রিক তথ্য লক করে রাখা প্রয়োজন।