এই মুহূর্তে




কথা সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম স্ত্রী গৌরী দেবীর বাড়ির পূজা ৪৫১ তম বছরে পড়ল




নিজস্ব প্রতিনিধি,বসিরহাট: দুই বাংলার ইছামতির পারে সীমান্ত গ্রামের বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির পুজো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা বহন করে।নেই কোন ভেদাভেদ, নেই কোন জাত পাতের  বিভেদ। সম্প্রীতির এক সুর।জমিদার নেই জমিদারি প্রথা উঠে গেছে। বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির পুজো এখন সব ধর্মের বারোয়ারি পুজোতে রূপান্তরিত হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট(Bashirhat) মহকুমার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের ইছামতি নদী ঘেষা পানিতর গ্রাম বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমার স্ত্রী গৌরী দেবীর বাড়ি। যেখানে তিনি বকুল গাছের নিচে বকুল বসন লিখেছিলেন।

সেই বকুল গাছ আজও প্রাচীন কৃত্তিমান হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ।আর সেই বাড়ির দুর্গা পুজো ৪৫১ বছরের পা দিল সেই পূজা এখনই হিন্দু ও মুসলমানের দুই সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাতাবরণ তৈরি করে। ওপার বাংলা থেকে বহু দর্শনার্থীরা এই পুজো দেখতে এপার বাংলায় আসেন পানিতর গ্রামে। পুজোর কটা দিন বিভিন্ন উৎসবের মাতেন। অষ্টমী ও নবমীতে গ্রামের রান্না বন্ধ থাকে ।ভজরামের মধ্য দিয়ে ভুরিভোজ শুরু হয়। আর সকালে সেই প্রসাদ একসঙ্গে বসে খান সকলে। এ ছাড়া পুজোর প্রত্যেকটা দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে।

একদিকে নিত্য প্রদর্শনীয় অন্যদিকে কবিতা আবৃত্তি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উৎসবে মাতেন বহু মানুষ। উভয় সম্প্রদায়ের মিলনক্ষেত্র হয়ে ওঠে এই সীমান্তের পানিতর গ্রাম। উদ্যোক্তারা প্রলয় মুখার্জি ও আবু তালেব মোল্লারা বলেন, এখানে জাতপাতের ঊর্ধ্বে উঠে আমরা সবাই এই পুজোটা আনন্দ উৎসবে মেতে উঠি।এখানে কোন ধর্মের ভেদাভেদ নেই। এক সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমরা অংশগ্রহণ করি। এখন কথাসাহিত্যিকের বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Bibhutivushan Bandopadhay) বাড়ির পুজো একটাই জায়গায় সীমাবদ্ধ নেই এটা গ্রামের বারোয়ারী পুজোতে পরিণত হয়েছে।

বহু মানুষ ওপার বাংলা থেকে এবার বাংলায় পুজো দেখতে আসেন। পাশাপাশি রাজ্য ছাড়িয়ে ভিন রাজ্য থেকে বহু দর্শনার্থীরা বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাচীনতম বাড়ি ঘুরে দেখেন ।ইছামতি নদীর পাড়ে ধূনির ঘরের একচলার প্রতিমা দর্শন করেন অন্যদিকে উৎসবে মাতেন। এটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক মেলবন্ধন গড়ে ওঠে পুজোর কটা দিন। বসিরহাট ১ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণী দপ্তরের কর্মদক্ষ শারিফুল মন্ডল বলেন ,পুজোটা এখানে একটা ধর্মের নয় সমস্ত সব ধর্মের মানুষের কাছে আবেগ রয়েছে ।সবাই মিলিত হন। আমাদের পরবর্তী ভাবনা রয়েছে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তার প্রথমা স্ত্রীর এই বাড়ি পর্যটন কেন্দ্র(Tourisim Center) গড়ে উঠুক। সেখানে সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষেরা এসে তার পুরনো ইতিহাস নিজের চোখে দেখুক। পাশাপাশি একটি লাইব্রেরিও হওয়ার কথা রয়েছে ।এখানে বিশেষভাবে সীমান্তে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলাতে জোর দেওয়া হয়েছে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শক্তিগড়ে পথ দুর্ঘটনার বলি চিকিৎসকের স্ত্রী ও মেয়ে

ছেলে-মেয়েকে নিয়ে প্যাণ্ডেল হপিং শুভশ্রীর, কাজের ফাঁকে পরিবারকে আগলে রাখছেন রাজ

সাগরে চোখ রাঙাচ্ছে গভীর নিম্মচাপ, ভাসবে গোটা বাংলা

দশভুজা রূপে নন, দেবী এখানে পুজিতা হন ‘দুই’ হাতেই

শুরু হয়ে গিয়েছে নবপত্রিকা স্নান, জানুন কলাবউ আসলে কে ?

অনশন আন্দোলনের জেরে ক্ষুব্ধ চিকিৎসকদের একাংশও, ট্যুইট কুণালেরও

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর