এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

জীবনের দাবিকে সমর্থন বিজেপি সাংসদের, চাপে বঙ্গ বিজেপি

নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজেপি কতটা বাংলা আর বাঙালি বিরোধী তার ভুরি ভুরি নিদর্শন কার্যত একুশের বিধানসভা নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই দেখা যাচ্ছে, শোনা যাচ্ছে। কার্যত বিজেপির এই বঙ্গ বিরোধী মনোভাব, বঙ্গ বিরোধী বৈরিতা বাংলার আমজনতা জেনে যাওয়ায় বিজেপিকে আর একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ তো বহু দূর, ১০০’র গন্ডিও পার হতে হয়নি। অনেকেই ভেবেছিলেন, হয়তো বিজেপির নেতারা নিজেদের ভুল বুঝতে পারবেন। কিন্তু কোথায় কী! এখনও বাংলার বিজেপির বিধায়ক থেকে সাংসদ সবাই বাংলায় বসে চূড়ান্ত রকম ভাবে বাংলার বিরোধিতা করে যাচ্ছেন, বাংলা ভাগের ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। আর এই ষড়যন্ত্রে যে কেএলও’র(KLO) মতো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও তাঁরা নিরন্তর যোগাযোগ রেখে চলেছেন সেটাই এখন দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হচ্ছে। জলপাইগুড়ির(Jalpaiguri) বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়(Jayanta Roy) মঙ্গলবার প্রকাশ্যেই সমর্থন জানিয়েছেন কেএলও নেতা জীবন সিংহের(Jiban Singha) পৃথক কামতাপুর রাজ্য গঠনের দাবিকে। আর তা নিয়ে মুখ পুড়ছে বঙ্গ বিজেপির।

ঠিক কী বলেছেন জয়ন্ত? বিজেপি সরকারের ৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানেই জলপাইগুড়ির এই সাংসদ(BJP MP) জানিয়েছেন, ‘উত্তরবঙ্গের মানুষকে শাসন করুক উত্তরবঙ্গের মানুষ। তাই আলাদা রাজ্যের দাবী প্রাসঙ্গিক। উত্তরবঙ্গের মানুষ শোষিত, সব দিক দিয়ে বঞ্চিত। তাই আলাদা রাজ্যের দাবী উপেক্ষা করা যায় না। গোর্খাল্যান্ড এর দাবীও অপ্রাসঙ্গিক নয়। এদের সমস্যার একটা স্থায়ী সমাধান চাই। আসলে এই সবটাই এসেছে দীর্ঘ দিনের বঞ্চনা থেকে। রাজবংশী ও কামতাপুর ভাষা একই। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এর মধ্যেও বিভাজন করেছেন। তিনি একদিকে রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমি বানিয়েছেন একই সঙ্গে কামতাপুর ভাষা অ্যাকাডেমি বানিয়েছেন। এটা রাজবংশীদের মধ্যে বিভাজন করা ছাড়া আর কিছু নয়। তাই জীবন সিংহের দাবিকে আমি সরাসরি সমর্থন জানাচ্ছি। তবে সেই নতুন রাজ্যের নাম যেন কামতাপুর না হয়। রাজ্যের নাম কামতাপুরের(Kamtapur) বদলে অন্যকিছু হলে আপত্তি নেই আমার।’

জয়ন্তের এহেন দাবি ঘিরেই এখন বিতর্ক শুরু হয়েছে। একদিকে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের দাবি তাঁরা বাংলা ভাগের বিরোধী, অন্যদিকে তাঁদের দলের সাংসদই প্রকাশ্যে বাংলা ভাগের দাবিকে সমর্থন জানাচ্ছেন। আর সেটাও এক জঙ্গি নেতার দাবি তথা বক্তব্যকে যিনি মুখ্যমন্ত্রীকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছেন। এই অবস্থায় রাজ্যের নানা মহলে বিজেপির ভূমিকা ও কাজ নিয়ে ক্রমশ ক্ষোভ ছড়াচ্ছে। সবার দাবি একটাই, বিজেপি আদতে বাংলার উন্নয়নের জন্য লড়ছে না। বাংলাকে শেষ করে দেওয়ার জন্য, বাংলাকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে দেওয়ার জন্য নিরন্তর ষড়যন্ত্র করে চলেছে। আর ভাবতেও লজ্জা লাগে সেই ষড়যন্ত্রে সামিল হয়েছে বেশ কিছু বাঙালি সাংসদ, বিধায়ক, নেতা ও মন্ত্রীরা। এদের দিয়েই বিজেপি বাংলায় বিচ্ছিন্নতাবাদী ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ডায়মন্ড হারবার ও আনন্দপুর থানার ওসিকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

উত্তরপাড়ার মাখলাতে দৃষ্টিহীনদের মাধ্যমিক পরীক্ষায় নজর কাড়া ফলাফল

রাস্তা পার হতে গিয়ে প্রখর রৌদ্রে মাথা ঘুরে লরির তলায় পড়ে মৃত্যু বৃদ্ধের

রাজভবনের অন্দরে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব সায়নী ও লাভলী মৈত্র

কৃত্রিম বৃষ্টি রামনগরের স্কুলে! গরম থেকে মুক্তি পেতে আনন্দ নিকেতন স্কুলে অবাক করা কান্ড

গরমের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দিতে উদ্যোগী হল রাজগঞ্জ থানার পুলিশ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর