নিজস্ব প্রতিনিধি: ভাদু শেখ খুনের পরেই ঘটে যায় বকটুই (Bagtui) গণহত্যা। বকটুই তদন্তভার সিবিআই- এর হাতে। সম্প্রতি আদালতের রায়ে ভাদু শেখ খুনের তদন্তভারও হাতে এসেছে সিবিআই (CBI)- এর। ভাদু খুনে শনিবার এফআইআর দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই ঘটনায় পাঁচ জন অভিযুক্তকে তোলা হয়েছিল আদালতে (Court)। তাদের ৪ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভাদু শেখ খুনে (Murder) অভিযুক্তদের মধ্যে নাম রয়েছে নুর ইসলাম (সঞ্জু), সেরা শেখ, ভাসান শেখ, রাজা শেখ ও সাফিকুল শেখের। ধৃতদের ৪ জনকে এদিন রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের ৪ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত, ২১ মার্চ বকটুই মোড়ে বোমা হামলা চালানো হয় ভাদুর ওপর। তারপরেই ভাদু ঘনিষ্ঠরা গণহত্যা চালায় বকটুই গ্রামে। চলে মারধর, মানুষ ভর্তি বাড়ি আগুনে পোড়ানো। ঘটনায় মৃত্যু হয় প্রায় ৭ জনের। বাদ যায়নি শিশু, মহিলা, নব দম্পতিও।
এই কাণ্ডের তদন্ত প্রথমে শুরু করে সিট (SIT)। পরে তদন্তভার গ্রহণ করে সিবিআই। এই ঘটনায় ধৃত পাঁচ অভিযুক্ত এর আগে ছিল ১৪ দিনের পুলিশি (Police) হেফাজতে। ভাদু হত্যার তদন্তে নেমে দশজনের নামে এফআইআর দায়ের করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাদের বিরুদ্ধে ৩৪ (অপরাধ সংঘটিত), ১২০ বি (ষড়যন্ত্র), ৩০২ (খুন) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তের তালিকায় নাম রয়েছে সোনা শেখ, পলাশ শেখ ও লালনের। অভিযুক্তদের ১৩ এপ্রিল ফের তোলা হবে আদালতে। এদিন রামপুরহাট মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য ও দায়রা বিচারকের এজলাসে ধৃতদের নিজেদের হাতে নেওয়ার আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক। অভিযুক্ত ওই পাঁচজনের ৪ দিন সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন।
এদিকে এদিন ধৃত ভাসান শেখের দিদি মোফিজা বিবি বলেন, ওই এফআইআরে ভাইয়ের নাম নেই তবু তাকে ধরা হল। এও বলেন, তাঁদের ঘর পুড়েছিল ভয়ঙ্কর সেই রাতে, আর গ্রেফতার করা হল তাঁর ভাই ভাসানকেই।