নিজস্ব প্রতিনিধি,চাকদহ: ভোট আসে ভোট যায়,ভাঙন কবলিত অঞ্চলে যে পরিস্থিতিতে এখনো পর্যন্ত সে অবস্থাতেই পরে আছে। প্রার্থীরা আসে আশ্বাসের বন্যা বইয়ে দেয়। ভোট চলে গেলেও বাবুদের দেখা মেলা ভার এমনি অভিযোগ জানালেন,এলাকার স্থায়ী বসবাসকারীরা। নদীয়ার চাকদহ ব্লকের(Chakdaha Block) চাঁদুড়িয়া এক নম্বর জিপির উত্তরাঞ্চল অর্থাৎ ঝাউচর,গঙ্গাপ্রসাদপুর,পোরাডাঙ্গা এবং মুকুন্দ নগর। চারটি গ্রামে বুথ মোট ৬টা। বাস করেন প্রায় সাড়ে চার হাজার ভোটারের পরিবার। এখানকার মানুষের পেশা চাষ,মৎস্যজীবি,দিনমজুর এবং নির্মাণকর্মী। নদিয়া জেলার সাথে যুক্ত থাকলেও হুগলী জেলার সাথে যোগাযোগটা বেশী।গত পাঁচ বছর আগে মুকুন্দনগর(Mukundanagar) থেকে গৌরনগর(Gournagar) ঘাটের আগে পযর্ন্ত বাঁধানো হয়েছিল আজ তা বেশিরভাগ জলে চলে গেছে।
নদিয়া-হুগলীর সাথে সংযুক্ত গৌরনগর ফেরীঘাট(Ferighat)। এখনো ভাঙনের মধ্যে পরে রয়েছে।কোন স্নান করার স্থায়ীঘাট নেই,নেই স্থায়ীফেরী ঘাট। কোন মতে দিন কাটছে এলাকার বাসিন্দাদের। বিশ্বনাথ বিশ্বাস,রামপ্রসাদ তরফদার অক্ষয় বিশ্বাসরা আজ অসহায়।বিশ্বনাথ বিশ্বাস বলেন,কবে এই অঞ্চলে বিধায়ক বা সংসদ এসেছিলেন জানেননা এলাকার মানুষ। আমাদের সুখ দুঃখের কথা কাকে জানাবো। একিই অবস্থা কল্যানী ব্লকের চাঁদুড়িয়া দুই নম্বর জিপির সান্যালচর এলাকার। রানীনগর,বালাপাড়া,ঢুঙ্গিপাড়া এবং মালোপাড়া। ১৩টা অঞ্চল ছিল। লোক সংখ্যা প্রায় পঁচিশ থেকে ত্রিরিশ হাজার। কমতে কমতে পাঁচ হাজার ভোটার সহ ছটা বুথ এসে দাঁড়িয়েছে। না আছে স্নান করার ঘাট,না আছে স্থায়ী ফেরীঘাট।প্রায় দিনই ফেরীঘাট পরিবর্তন করতে হয়।
এখানকার বাসিন্দারা জলপথই ব্যাবহার করেন। স্কুল,কলেজ অফিস জলপথেই সুবিধা ।কারন চাঁদুড়িয়া এখান শিমুরালি স্টেশন(Simurali station) প্রায় সাত কিমি। চাকদহ সাত কিমি। অটো বা মোটর ভ্যানের ওপর নির্ভর করতে হয়। জীবন বিশ্বাস বলেন, আমাকে প্রস্তুত থাকতে হয় গঙ্গার ভাঙন শুরু হলে দোকান সরানোর জন্য। ভাঙন শুরু হলে বিঘার পর বিঘা জমি গঙ্গার বক্ষে চলে যায়। কল্যানী ব্লকের তাড়িনীপুর,রায়ডাঙ্গা,হেমনগর সরাটি অঞ্চলের অবস্থা একি, তবে এখানকার বাসিন্দারা জানালেন, বাঁধানোর কাজ চলছে। বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে। তবে কতদিন, পুনরায় আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসবে।কারন গঙ্গায় পলি বা বালি জোমে নাব্যতা বা গভিরতা কমে যাচ্ছে। অবিলম্বে গঙ্গার ভিতরে জমা পলি বা বালি তুলতে হবে। না হলে গঙ্গা বক্ষে যান চলাচল ব্যাহত হবে জানালেন সরাটি অঞ্চলের হামিদুল মন্ডল। যদিও কটাক্ষর সুরে বলেন বিড়ালের গলায় ঘন্টা এখন বাঁধবে কে। সেই অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।