নিজস্ব প্রতিনিধি: ধূপগুড়ি(Dhupguri) ব্লক ভেঙে পৃথক বানারহাট(Banarhat) ব্লক তৈরির জন্য তিনি আবেদন রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) কাছে। সেই অনুরোধ রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আবদার পূরণ হওয়ায় তিনি জেলাবাসীকে বার্তা দিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। আগামীদিনে বানারহাটে পুরসভা হবে, ধূপগুড়িও মহকুমার স্বীকৃতি পাবে। একুশের ভোটে দল তাঁকে সেই ধূপগুড়িতে প্রার্থীও করেছিল। কিন্তু তিনি জিততে পারেননি। বিজেপির কাছে তাঁকে হারতে হয়েছিল। সেই বিজেপির প্রার্থীর মৃত্যুতে এখন ফের উপনির্বাচন(Bye Election) অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ধূপগুড়ির বুকে। কিন্তু এবারে আর দল তাঁকে প্রার্থী করেনি। উপনির্বাচনে দলের হয়ে প্রচারে নামতেও দেখা যায়নি তাঁকে। এবার তাঁর দুয়ারেই ভোট চাইতে হাজির হলেন বাম প্রার্থী(Left Candidate)। আর তার জেরেই রাতারাতি চাঞ্চল্য ছড়ালো ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে। তিনি মিতালি রায়(Mitali Roy)। শনি সকালে তাঁর বাড়িতেই হাজির হন ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের বামপ্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র রায়(Ishwar Chandra Roy)।
জানা গিয়েছে, এদিন মিতালির বাড়িতে ইশ্বর এসেছিলেন এবং দুইজনের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ আলোচনাও হয়। তার জেরেই জেলার রাজনীতিতে তো বটেই রাজ্য রাজনীতিতেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও মিতালি জানিয়েছেন, ‘প্রার্থী হিসেবে ঈশ্বরচন্দ্র রায় আমার বাড়িতে এসেছিলেন৷ ভোট নিয়েই আলোচনা হয়েছে৷’ আবার ঈশ্বরচন্দ্র রায়ের দাবি, ‘আর পাঁচজন ভোটারের মতোই মিতালির বাড়িতে এসেছিলাম ভোট চাইতে৷ হতে পারে ও তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক(Former TMC MLA)। কিন্তু আমার কাছে বোনের মতো। তাই একজন ভোটার হিসেবেই তার বাড়িতে প্রচারে এসেছি।’ কিন্তু রাজনীতির কারবারিরা এখানেই গপ্পো খুঁজছেন। কেন? কেননা, তৃণমূলের প্রচারে মিতালি ও তাঁর অনুগামীদের দেখা যাচ্ছে না। অভিযোগ, টিকিট না পেয়ে ক্ষোভের কারণেই তাঁকে প্রচারে নামতে দেখা যাচ্ছে না। ধূপগুড়ি পুনর্দখল করা তৃণমূলের কাছে চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এলাকারই প্রাক্তন বিধায়ক হিসেবে মিতালি রায় প্রচারে না নামায় তা তৃণমূলের কাছে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ এবার তাঁর বাড়িতে সিপিএম প্রার্থী গিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করায় রাজনৈতিক মহলে আরও জল্পনা ছড়িয়ে পড়ল।