নিজস্ব প্রতিনিধি: নতুন বছর (Bengali New Year)। ১৪২৯ বঙ্গাব্দের প্রথমদিন শুক্রবার। ১ বৈশাখ থেকেই দেউচা পাচামিতে আর দেখা মিলছে না ধর্না মঞ্চের। বীরভূম জমি জীবন জীবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভা। শুধু ধর্না মঞ্চ তুলে নেওয়া নয়, সেই সঙ্গে প্রতিনিধিরা বিবৃতি দিয়ে ধন্যবাদও জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মহাসভার সমস্ত দাবি বিবেচনা করে দেখার। মহাসভার পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। নতুন বছরের নতুন দিন থেকে শুধুই শিল্প আর উন্নয়নের বার্তা। মমতাকে ধন্যবাদ জানাল দেউচা পাচামি।
প্রসঙ্গত, নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করেছলেন বীরভূম জমি জীবন জীবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভার প্রতিনিধিদের সঙ্গে। এদিন বৈঠক চলে প্রায় ৪০ মিনিট। প্রতিনিধিরা আবেদন জানিয়েছিলেন, পাথরখনিতে যারা অবৈধ ব্যবসা চালাচ্ছে তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করার। সেই সঙ্গে দাবি জানানো হয়, আন্দোলনকারীদের ওপর থেকে মামলা প্রত্যাহার করার। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সমস্ত আবেদন গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। সেই সঙ্গে এও জানান, জমিদাতাদের জন্য দেওয়া হবে সেরা প্যাকেজ। জানানো হয় রাজ্য সরকারের এই সংক্রান্ত সমস্ত প্যাকেজের বিস্তারিত তথ্য। মমতা এদিন প্রতিনিধিদের বোঝান, এই প্রকল্প রাজ্যের শিল্পের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
ইতিমধ্যেই অনেকে সরে এসেছেন আন্দোলন থেকে। স্বেচ্ছায় জমি দিয়েছেন অনেকে। তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র ও ক্ষতিপূরণ। প্রসঙ্গত, ৩৬ টি গ্রামের প্রতিনিধিদের নিয়ে গড়ে উঠেছিল করেছলেন বীরভূম জমি জীবন জীবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভা। তাঁদের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, বাকিরাও যদি স্বেচ্ছায় জমি দেন তাহলে ক্ষতিপূরণ সহ প্যাকেজের সমস্ত সুবিধাই পাবে সকলে।
মহাসভা থেকে প্রেসবিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর মূল্যবান সময় থেকে ৪০ মিনিট সময় বের করে বৈঠক করার জন্য তাঁরা কৃতজ্ঞ। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাঁরা তুলে নিচ্ছেন ধর্নামঞ্চ। সমস্ত গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যসচিবকে। মহাসভা জানিয়েছে, এরপর আর ধর্না মঞ্চ থাকা প্রাসঙ্গিক নয়। তবে থাকছে অস্থায়ী কার্যালয়। জানানো হয়েছে, তাঁরা আস্থা রাখছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ওপর।