নিজস্ব প্রতিনিধি: রাস্তা দিয়ে এগিয়ে চলেছে বাস (BUS)। উল্টো দিক থেকে হনহনিয়ে হেঁটে আসছে গজরাজ (ELEPHANT)। আর তা দেখেই থমকে যায় বাসের চাকা। হাতি কাছে আসতেই বাস থেকে নেমে পড়েন বাসের চালক, যাত্রীরা। আর এরপরেই বাসে খাবারের খোঁজে তল্লাশি চালায় হাতি। মেলে না কিছুই। রাগে বাসে ধাক্কা মারতে থাকে গজরাজ। ইচ্ছে যেন, খাবার নেই তাই উল্টে দিতে হবে বাস। শুধু তাই নয়, বাসকে ঘিরে কয়েক পাক ঘুরেও নিল গজপতি! তটস্থ যাত্রীরা।
শনিবার সকালে ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি ব্লকের পড়াডিহা এলাকার চিচিরা রাস্তার ঘটনা। হাতি হঠাৎ করে বাসের সামনে আসতেই বাস থেকে নেমে পড়েন চালক, যাত্রী সকলে। এরপরে ১ মিনিটেই ফাঁকা বাসে রীতিমত তল্লাশি চালানো শুরু করে হাতি। খোঁজ শুধু একটু খাবারের। এক-দুটো জানালায় শুঁড় গলিয়েও মেলেনি খাবার। বাকি জানালা দিয়ে শুঁড় গলিয়ে খাবারের খোঁজ করতে যাবে, দেখে সব জানালা আগেই বন্ধ করে দিয়েছে যাত্রীরা। এতেই রাগ হয় গজরাজের। রাগের চোটে বাস ওল্টাতে বেশ কয়েকবার ধাক্কাও মারে হাতি। আর তারপরেই বাসকে ঘিরে কয়েক পাক ঘোরে হাতি। বাস থেকে নেমে যাওয়া চালক ও যাত্রীরা তা দেখতে পেয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে জমি দিয়ে দৌড়ানো শুরু করে। আবার কয়েকজন অতি উৎসাহী জনতা হাতি দেখাতে ভিড় জমায় রাস্তায়। অবশেষে রেহাই দেয় হাতি, বাসে আর ধাক্কা না মেরে ধরে বনের পথ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই হাতির নাম রামলাল। এলাকায় বেশ পরিচিত সে। মাঝেমাঝেই আসে খাবারের সন্ধানে। শনিবার বাসে খাবার না পেয়ে মুখ ঘোরায় রামলাল। ফের রাস্তা দিয়ে হেঁটে কিছুটা এগিয়ে ধরে জঙ্গলের পথ। আর তারপরেই জঙ্গলে প্রবেশ করে সে। এদিনের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি, আহত হওয়া বা মৃত্যুর খবর নেই। তবে এলাকায় হাতি ঢোকায় ছড়িয়ে পড়েছিল উত্তেজনা। বনদফতরের পক্ষ থেকে বারবার করে বলা হয়েছে, হাতি এলে তার সামনে যেতে না। জানা গিয়েছে, হাতিটি দলছুট।