নিজস্ব প্রতিনিধি: একই দিনে পর পর ২টি দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে ৭জনের জীবন। এবার সেই নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ালো রাজ্যের ক্ষমতাসীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন সরকার। বর্ধমান(Burdwan) স্টেশনে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে নিহতদের পরিবার ও জখমদের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। একইরকম ভাবে বসিরহাটে(Basirhat) ইটভাটা বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের পাশেও থাকছে রাজ্য সরকার(West Bengal State Government)। বর্ধমানের ঘটনায় মারা গিয়েছে ৩জন এবং আহত হয়েছেন ১৩জন। সেই ঘটনায় রাজ্য সরকারের তরফে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের প্রাণিসম্পদ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ(Swapan Debnath) নিহতদের পরিবারের হাতে রাজ্যের তরফে ২ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করেন। সেই সঙ্গে জখমদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণের চেকও দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বসিরহাটে ইটভাটায় বিস্ফোরণে মৃতের পরিবারকেও ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ তথা জখম তিন শ্রমিকের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদানের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বর্ধমানের দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। সেই সঙ্গে হাসপাতালে গিয়ে জখমদের সঙ্গেও দেখা করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী, পুলিস সুপার আমনদীপ, পূর্ব বর্ধমানের জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা। স্বপনবাবু জানিয়েছেন, ‘রেলযাত্রীদের কোনও নিরাপত্তা নেই। বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। রেলের কোনও হেলদোল নেই। অমৃত ভারত প্রকল্পে বর্ধমান স্টেশনকে স্মার্ট করে তোলার কথা রেল ঘোষণা করেছে। কিন্তু যাত্রীদের নিরাপত্তা না থাকলে স্মার্ট স্টেশনের কী গুরুত্ব আছে? কেন্দ্রীয় সরকার সব কিছুতেই রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে। ভাঙা ট্যাঙ্কটি এখনও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ফুট ওভারব্রিজগুলিও সংস্কার করা উচিত। ফের দুর্ঘটনা না হলে হয়তো রেলের হুঁশ ফিরবে না।’
উল্লেখ্য, বর্ধমান স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে জলের ট্যাংক ভেঙে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় মৃতের আত্মীয়দের জন্য ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবও। সাধারণত অপ্রীতিকর ঘটনায় মৃত্যুর জন্য রেলের তরফে ১.৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়। তবে এবারে তা ৫ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। তবে বর্ধমানের ট্যাংকের দুর্ঘটনার কারণ এখনও অজানা রেলের। এই ঘটনায় ৩জনের তদন্ত কমিটি তৈরি হয়েছে। ভাঙা ট্যাংকের অংশ ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিতে পাঠানো হয়েছে। গত ডিসেম্বরে যে চেকিং হয়েছিল তাতে ফিট সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল ১৩০ বছরের পুরোনো ওই ট্যাংককে। চলতি ডিসেম্বরেই ফের চেক হওয়ার কথা ছিল। যে প্লাটফর্মে ট্যাংকটা ছিল সেখানে আর নতুন কোনও ট্যাংক বানানো হবে না। প্লাটফর্মের পাশে বানানো হবে নতুন ট্যাংক।