এই মুহূর্তে

দুর্ঘটনায় আহত বৃদ্ধকে রেফার, কড়া শাস্তির মুখে ডাক্তার- নার্স

নিজস্ব প্রতিনিধি: পথ দুর্ঘটনায় জখম হয়েছিলেন অশীতিপর বৃদ্ধ। তাঁকে কৃষ্ণনগরের জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে অন্য হাসপাতালে রেফার করা হয় বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগের ওপর ভিত্তি করেই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। জানা গিয়েছে, হাসপাতাল সুপার, অর্থোপেডিক সার্জেন, নার্সিং সুপারের বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। জানা গিয়েছে, পথ দুর্ঘটনায় দুটি পা ভেঙে গিয়েছিল ওই বৃদ্ধের। হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিনা চিকিৎসায় তাঁকে অন্যত্র রেফার করা হয়েছে। ফলে মৃত্যু হয়েছে ওই বৃদ্ধের।

অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন আগে পথ দুর্ঘটনায় জখম হয়েছিলেন ৮০ বছরের বৃদ্ধ। সেই সময় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে। চিকিৎসা না করে তাঁকে অন্যত্র রেফার করে দেওয়া হয়। আরও অভিযোগ, সেই সময় হাসপাতালে ৬ জন অর্থোপেডিক চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। তবুও রেফার করে দেওয়া হয় তাঁকে। বৃদ্ধের পরিবারের দাবি, ওই রাতে একের পর এক হাস্পাতাল শুধু রেফার করতে থাকে। তাই বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয় বৃদ্ধের। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতাল সুপার, অর্থোপেডিক সার্জেন, নার্সিং সুপারের ওপর বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই ঘটনাতেই বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। কড়া শাস্তির মুখে পড়তে চলেছেন অভিযুক্তরা। প্রসঙ্গত, রেফার রোধ করতে একাধিক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। জেলায় জেলায় রয়েছে বিশেষ নজরদারি কমিটি। তাঁরা দেখেন রেফারের কারণ আদৌ ছিল কি না। সেই রিপোর্ট কমিটি জমা দেয় স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্যকর্তাদের কাছে। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের হাজিরা দেওয়া নিয়ে আরও কড়া অবস্থান নিয়েছে স্ট্যান্ডিং কমিটি। শুধু তাই নয় কড়া নজর রাখা হবে প্রাইভেট প্র্যাকটিসের ওপরেও। এমনটাই ঠিক হয়েছিল বিশেষ বৈঠকে। বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে চিকিৎসকদের হাসপাতালে থাকার সময় এবং ছুটির দিকটি। কড়া এই নিয়ম মানানোর জন্য নেওয়া হচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থা। সরকারি পরিষেবায় এভাবেই বাড়তি গুরুত্ব দিতে চাইছে কমিটি।

গত বৃহস্পতিবার বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক ছিল। জানা গিয়েছে, এই দিনই এই সব বিষয়ে আলোচনা হয়। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভার বিধায়ক নির্মল মাজি, স্বাস্থ্য দফতরের সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম, নির্দেশক অজয় চক্রবর্তী, বালি বিধানসভার বিধায়ক রাণা চট্টোপাধ্যায়, শ্রীরাম্পুর বিধানসভার বিধায়ক সুদীপ্ত রায় প্রমুখ। এদিনের বৈঠকের সভাপতিত্ব করেছিলেন নির্মল মাজি। কমিটির আলোচনায় ঠিক করা হয়েছিল, অন্য হাসপাতাল বা সেই হাসপাতালের চিকিৎসকের সঙ্গে কথা না বলে কোনওভাবেই রোগীর পরিবারকে রেফার করা যাবে না। সেই সঙ্গে কড়া ভাবে ঠিক করা হয়েছে, কেউ সরকারি নির্দেশিকা না মানলে তাঁর বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা।

এদিনের আলোচনায় চিকিৎসকদের উপস্থিতি, হাসপাতালে থাকার সময়, প্রাইভেট প্র্যাকটিস নিয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সপ্তাহের মাঝখানে কেউ ছুটি নিতে পারবেন না ব্যক্তিগত প্র্যাক্টিশের জন্য। সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত অবশ্যই থাকতে হবে হাসপাতালে। উপস্থিতি এবং থাকার সময়ের জন্য একইসঙ্গে খাতা এবং বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু রাখার ব্যবস্থা। সেই সঙ্গে আরও একটি কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওই দিন। ঠিক করা হয়েছিল, উত্তরবঙ্গের চিকিৎসকদের ওপর রাখা হবে বিশেষ নজর।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শনিবারের মধ্যে কলকাতার তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে ৩৭ ডিগ্রির ঘরে

ঘাটাল লোকসভা জিততে গেলে মানুষের ভালোবাসা আদায় করতে হবে: দেব

কৃষ্ণনগরে আবার ইডি এলে সরপুরিয়া খেয়ে যাবে, খোঁচা মহুয়ার

শেখ শাহজাহানের জামিনের আর্জি খারিজ, জেল হেফাজতের নির্দেশ

রাজ্যে বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে অলোক সিনহা

চাই পুরসভা, চাই পূর্ণাঙ্গ থানা, গলা তুলছে আমোদপুর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর