নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা থেকেই বোলপুরের(Bolpur) ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলার(Poush Mela) উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। কেননা এবারের পৌষ মেলার আয়োজন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়(Viswabharati University) নয়, আয়োজক রাজ্য সরকার। আর তাই মেলার উদ্বোধক মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি শুধু মেলার উদ্বোধনই করলেন না, বীরভূমের জেলা শাসক বিধান রায়ের মোবাইলের মাধ্যমে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকেও কড়া বার্তা দিলেন। জানালেন, ‘গ্রাম ছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ, আমার মন ভোলায় রে। এই গানটি আজও আমাদের কাছে সমাদৃত এবং বিশ্বজনিন। কবিগুরুর(Rabindranath Tagore) অবদান বিশ্বের কাছে অবদান রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই জায়গা কেউ কলুষিত করুক সেটা আমরা চাই না। কোনও স্বৈরাচারী মনোভাব নিয়ে বিশ্বভারতী চালালে হবে না। আশ্রমিক থেকে পড়ুয়া সকলকেই সম্মান দিতে হবে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের পৌষ মেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত মানুষ ভাল ভাবে নেয়নি। তাই ভালবাসার সঙ্গে, সতর্কতার সঙ্গে এই মেলা পরিচালনা করতে হবে।’
উল্লেখ্য, তিন বছর পর ফের হচ্ছে বোলপুরে শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লীর মাঠে ঐতিহ্যশালী পৌষমেলা। এদিন মেলার উদ্বোধনের আগে ছাতিম তলায় বিশেষ গানের মধ্য দিয়ে পৌষ উৎসবের সূচনা হয়। উৎসবের সূচনা করেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয় কুমার মৌলিক। এরপর ছাতিমতলা থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘উদয়ন’ বাড়ি পর্যন্ত বিশেষ পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। বিশ্বভারতী এ বার মেলা না করলেও জেলা প্রশাসনের আবেদনে তারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং প্রদর্শনী করছে। মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তার পর আনুষ্ঠানিক ভাবে মেলার উদ্বোধনের পর প্রদীপ প্রজ্জলনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন দুই প্রবীণ আশ্রমিক ও বিশ্বভারতীর প্রাক্তন অধ্যাপক সুনীতিকুমার পাঠক ও কল্পিকা মুখোপাধ্যায়। মেলা উপলক্ষ্যে শনিবার থেকেই পর্যটকদের ঢল নামতে শুরু করেছে বোলপুর শান্তিনিকেতনে। সেখানকার হোটেল, লজ, হোমস্টেগুলিতে তিলধারণের জায়গা নেই। এবার মেলায় ১২০০-র বেশি স্টল থাকছে। মেলা চলবে পাঁচ দিন।