এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

হাতির হানায় মারা গেলে পরিবারের ১জন চাকরি পাবে বন দফতরেই

Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাম জমানায় কেউ হাতির হানায় মারা গেলে(Death due to Elephant Attack) চাকরি তো জুটতই না, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণও মিলতো না। সেই ছবিটা বদলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তাঁর নেতৃত্বাধীন রাজ্যের ক্ষমতাসীন মা-মাটি-মানুষের সরকার রাজ্য বিধানসভায় বিল পাশ করেছে যে রাজ্যে যারা হাতির হানায় মারা যাবে তাঁদের পরিবারের ১জন করে সদস্যকে রাজ্য পুলিশের হোমগার্ড পদে নিয়োগ করা হবে। সেই বিল বিধানসভায় পাশ হয়ে আইন হয়ে গিয়েছে। সেই আইনের হাত ধরে ইতিমধ্যেই হাতির হানায় নিহতদের পরিজনের অনেকে রাজ্য পুলিশের হোমগার্ড পদে চাকরিও পেয়ে গিয়েছেন। এবার আরও এক পদক্ষেপ করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আর তা হল হাতির হানায় যারা মারা যাবেন তাঁদের পরিবারের ১জনকে রাজ্যের বন দফতরে(Forest Department) পাকা চাকরি দেওয়া হবে। এর জন্য বন দফতরে নয়া পদও তৈরি করা হবে। প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, চাকরি দেওয়া হবে Forest Volunteer পদের ক্ষেত্রে।

আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বাঁকুড়া জেলার(Bankura District) আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা খাতড়ার প্রশাসনিক সভা করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী হাতির হানায় মারা যাওয়া পরিবারের ১জনকে এই বন দফতরের Forest Volunteer পদে চাকরি দেওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করতে পারেন। একইসঙ্গে সেদিন প্রশাসনিক পরিষেবা প্রদানের মঞ্চ থেকে কয়েক জনের হাতে সেই পদে যোগ দানের জন্য নিয়োগপত্রও তুলে দিতে পারেন। যদিও এই বিষয়ে রাজ্যের বন দফতরের তরফে সরকারি ভাবে কিছু ঘোষণা করা হয়নি। বন দফতরের আধিকারিক থেকে জেলা প্রশাসনেরও কেউ এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি হাতির হানায় মৃত কয়েকজনের পরিবারের সদস্যকে বাঁকুড়ার বন দফতরের অফিসে ডাকা হয়। তাঁদের কাছ থেকে কিছু প্রয়োজনীয় নথি জমা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতির হানায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের ১জন সদস্যকে রাজ্য পুলিশের হোমগার্ড পদে নিয়োগের সময় অনেকেই সেই চাকরি নিতে চাইছেন না। সেই বিষয়টি লক্ষ্য করেই বন দফতরের অধীনে Forest Volunteer পদে চাকরি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

জঙ্গলমহলের ৪ জেলা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বুকে বছরে সব থেকে বেশি হাতির হানায় প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে। এর বাইরেও হাতির হানায় উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার মানুষও মারা যান। আবার হাতির দল কিংবা দলছুট হাতি মাঝে মধ্যে হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, দার্জিলিং ও কোচবিহার জেলায় ঢুকে পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে এই জেলাগুলিতেও প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে অতীতে। কার্যত সেই কারণে দেখা যাচ্ছে রাজ্যে প্রতি বছর হাতির হানায় মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। হাতির এই হানাদারির ঘটনার স্থায়ী সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কেন্দ্র সরকার কার্যত কিছুই করছে না। যা কিছু করতে হচ্ছে তা রাজ্য সরকারকেই করতে হচ্ছে। সেই হানাদারি ঠেকানো যে রাতারাতি সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করা সম্ভব নয় তা দেখেই মুখ্যমন্ত্রী আর্থিক ক্ষতিপূরণ দ্রুত প্রদানের পাশাপাশি চাকরি প্রদানের ক্ষেত্রে জোর দিচ্ছেন। কেননা তাতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ডায়মন্ড হারবার ও আনন্দপুর থানার ওসিকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

উত্তরপাড়ার মাখলাতে দৃষ্টিহীনদের মাধ্যমিক পরীক্ষায় নজর কাড়া ফলাফল

রাস্তা পার হতে গিয়ে প্রখর রৌদ্রে মাথা ঘুরে লরির তলায় পড়ে মৃত্যু বৃদ্ধের

রাজভবনের অন্দরে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব সায়নী ও লাভলী মৈত্র

কৃত্রিম বৃষ্টি রামনগরের স্কুলে! গরম থেকে মুক্তি পেতে আনন্দ নিকেতন স্কুলে অবাক করা কান্ড

গরমের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দিতে উদ্যোগী হল রাজগঞ্জ থানার পুলিশ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর