এই মুহূর্তে




১৩ বছরে মাওবাদী শীর্ষ নেতা ‘কিষেনজির স্মৃতি’ অনেকটাই ফিকে জঙ্গলমহলে




নিজস্ব প্রতিনিধি,ঝাড়গ্রাম: জঙ্গলমহল জুড়ে মাওবাদী শীর্ষ নেতা কিষেনজির স্মৃতি এখন অনেকটা ফিকে । তবুও সতর্ক প্রশাসন। মাওবাদী শীর্ষনেতা কিষেনজির মৃত্যুর ১৩ বছর অতিক্রম। রাজ্যে পালা বদলের পর ২০১১ সালের ২৪ সে নভেম্বর তৎকালীন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বর্তমান ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি ব্লকের কাপগাড়ি অঞ্চলের বুড়িশোল জঙ্গলে যৌথ বাহিনী গুলিতে খতম হয়েছিলেন মাওবাদী শীর্ষনেতা কিষেনজির ওরফে কোটেশ্বর রাও। জঙ্গলমহলে সে সব অতীত, ধারাবাহিক সন্ত্রাসের দুঃস্বপ্ন এখন ঘুচেছে। রাজ্যের সীমানাতে রয়েছে পুলিশের তৎপরতা। তবে উন্নয়ন বদলে দিয়েছে রক্তেঝরা পুরোনো দিনগুলিকে। ঝাড়গ্রাম চাঙ্গা হয়েছে পর্যটন শিল্পে। এক সময় ঝাড়গ্রাম জেলার যে বেলপাহাড়িতে যেতে মানুষ ভয় পেতেন, সেখানে এখন হয়েছে একাধিক হোম – স্ট্রে(Home Stay)। এই ধরনের হোম – স্ট্রে ও রিসর্ট(Restore) বদলেছে এলাকার অর্থনীতি।

জঙ্গলমহলে(Jangalmahal) শান্তি ফেরায় পর্যটন চাঙ্গা হয়েছে। পুলিশের উদ্যোগে নিবিড় জন সংযোগ কর্মসূচি লাগাতার চলছে। প্রতিটি গ্রামের সঙ্গে পুলিশের যোগাযোগ রয়েছে। পুলিশের উদ্যোগে অবৈতনিক শিক্ষাদানের দিশা কোচিং সেন্টার চলছে। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য শিবির, যুবক- যুবতীদের চাকরির পরীক্ষা শিবির সহ নানা ধরনের সামাজিক কর্মসূচি নিয়মিত হচ্ছে। পুলিশের নাকা চেকিং, পেট্রোলিং ও নজরদারি রয়েছে। তাই ২৪ নভেম্বর রবিবার মাওবাদী শীর্ষনেতা কিষেনজির মৃত্যুর দিন, কিন্তু মাওবাদী শীর্ষনেতা কিষেনজির মৃত্যুর ১৩ বছর পার হওয়া সত্বেও মাওবাদী শীর্ষনেতা কিষেনজির(Kisanji) স্মৃতি এখন ফিকে জঙ্গলমহল জুড়ে। তাই মাওবাদী সন্ত্রাসের দিনগুলি ভুলে জঙ্গলমহলের মানুষ এখন শান্তিতে রয়েছেন। উন্নয়নের মাধ্যমে জঙ্গলমহলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই শান্তি ও উন্নয়নের ধারা জঙ্গলমহলে অব্যাহত থাকুক চায় জঙ্গলমহলের বাসিন্দারা।

ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ সুপার(SP) অরিজিৎ সিনহা বলেন, “সরকারের গাইড লাইন মেনে পুলিশ প্রশাসন কাজ করছে”, ঝাড়গ্রাম জেলায় এখন আর মাওবাদী আতঙ্ক বলে কিছু নেই। আর এসবের মধ্যেই নিন্দুকেরা হোগলা পাতার জঙ্গল দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে হয়তো বলছেন জঙ্গলমহল এখন আর অবহেলিত নয়। ভাগ্যিস লালগড় আন্দোলনে সিধু সোরেন ও কোটেশ্বর রাউওদের হয়তো আগমন ঘটেছিল তাই। চোখে আঙ্গুল দিয়ে তৎকালীন সরকারকে অবহেলার জবাব দিয়েছিল জঙ্গলমহলের মানুষ। আর তাই পরিবর্তনের বাংলায় ক্ষমতা এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই জঙ্গলমহলকে উন্নয়নের গতিতে জুড়তে ভোলেন নি। আমলাশোলে ছুটে যেতে দেরি করেননি। জঙ্গলমহলের তরুণ তরুণীদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি আদিবাসীদের ভাষাকে স্বীকৃতি দিতে বর্তমান রাজ্য সরকার পিছপা হয়নি।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে বারাসতে গ্রেফতার বজরং দলের ৩ সদস্য

আপনার আমার ডাল খেয়েছে বলে, জ্যোতিপ্রিয়কে জেলের ভাত খেতে হচ্ছে : দিলীপ ঘোষ

বাংলাদেশে আলু পাচার রুখতে রাতভর সীমান্তে পাহারা দেবেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না

লেপ-কম্বল তৈরি রাখুন, সপ্তাহান্তে ১৫ ডিগ্রিতে নামবে পারদ

ডোমের ছেলে বলে স্কুলে যাবে না?এ কোন সমাজে থাকছি আমরা?

ব্যারাকপুর কালিয়া নিবাসে অস্থায়ী ঘর বানিয়ে পুকুর ভরাটের অভিযোগে সরব কাউন্সিলর সহ এলাকাবাসী

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর