নিজস্ব প্রতিনিধি: হাসপাতালে চিকিৎসককে দেখাতে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় এক মহিলার কাছে নিজের আড়াই বছরের শিশুকে কিছুক্ষণের জন্য রেখেছিলেন আসমুদা বেগম। এরপর সেখান থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় তাঁর সন্তান। বুঝতে পারেন যার কাছে ছেলেকে রেখে গিয়েছিলেন তিনি, সেই মহিলাই শিশুকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৬ সালের ২৬ অক্টোবর। এরপর কেটে গিয়েছে ৬ বছর। দীর্ঘ সময় পর অবশেষে নিজের সন্তানের সন্ধান পেলেন মা।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার রামনগর থানা এলাকার শিমলা গ্রামের বাসিন্দা আসমুদা বেগম। ২০১৬ সালের ২৬ অক্টোবর তাঁর আড়াই বছরের ছেলেকে নিয়ে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে চিকিৎসককে দেখাতে যান। সেখানে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় এক মহিলার কাছে নিজের ছেলেকে রাখতে দেন তিনি। এরপর সেই মহিলাই শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে এই ঘটনার পর দিশেহারা হয়ে পড়েন শিশুটির মা। সন্তানের খোঁজে হন্যে হয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তিনি। কিন্তু কোথাও সন্ধান মেলেনি তার। পরে আসমুদা বেগমের পরিবারের লোকজন ডায়মন্ড হারবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর ছ বছর পর নিজের সন্তানের সন্ধান পেলেন ওই মা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চুরি যাওয়া শিশুটিকে বেশি দামে বিক্রি করা হয়েছে, এই খবর তার পরিবার বিভিন্ন সূত্র মারফত জানতে পারে। বহু হাত বদল হয়ে শিশুটিকে বিক্রি করা হয়েছে বলে জানতে পারে তার পরিবার। সম্প্রতি তাদের সন্তানকে হাওড়ার সাঁকরাইলে রাখা হয়েছে বলে জানতে পারেন শিশুটির মা। এরপর বিষয়টি পুলিশকে জানালে, সোমবার রাতে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জোনাল পলাশ চন্দ্র ঢালির নেতৃত্বে হাওড়ায় অভিযান চালিয়ে ওই শিশুকে সাঁকরাইল থেকে উদ্ধার করে। ইতিমধ্যে এই শিশু পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কুতুবউদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে শিশুকে উদ্ধার করলেও তাকে বাবা মার কাছে ফেরত দিতে বেশকিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে পুলিশকে। সেগুলি সম্পন্ন করার পর তার বাবা মার হাতে তুলে দেওয়া হবে শিশুকে।