নিজস্ব প্রতিনিধি: একটি খুনের তদন্ত করতে গিয়ে ফাঁস হল আরও একটি খুনের তদন্ত। আর এই দুটি খুনই করেছে একজন ব্যক্তিই। সেই অভিযুক্তকে আপাতত গ্রেফতার করেছে খড়দহ থানার পুলিশ। পানিহাটির যুবক শিবনাথ দাসের খুনের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করা হয় বিপ্লব দাসকে। জেরায় শিবনাথকে খুনের ঘটনা স্বীকার করে বিপ্লব। কিন্তু পুলিশের মনে সন্দেহ হয়, গত ১৯ তারিখ পানিহাটি গিরিবালা ঘাটে উদ্ধার হয়েছিল নারায়ণপুর থানার কাটাখালের বাসিন্দা বছর পঁয়তাল্লিশের শেখর পালের মৃতদেহ। শেখর ও শিবনাথের মৃতদেহ প্রায় একই জায়গা থেকে উদ্ধার হয়। দু’জনের ক্ষেত্রেই মাথার পিছন দিকে আঘাতের চিহ্ন। সেই সূত্র ধরেই ধৃত বিপ্লবকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় পুলিশ।
ধৃত বিপ্লব জানান, দু’জনকেই খুন করেছেন তিনি। খুনের কারণ হিসেবে বিপ্লব জানিয়েছেন, শিবনাথের সঙ্গে মদ্যপানের আসরে বচসা বেঁধেছিল। এরপর শিবনাথ একা গঙ্গার ঘাটে চলে যায়। সেখানে তাঁকে একা দেখেই খুনের পরিকল্পনা করে বিপ্লব। মাথা থেঁতলে খুন করে ও গঙ্গার পাড়ে মাটিতে পুঁতে ফেলতে চায়। কিন্তু ভালোভাবে সেই কাজ না করতে পারায় রবিবার ভোরেই মৃত শিবনাথের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঠিক একইভাবে শেখরকে খুন করে বিপ্লব দাস। যেহেতু দু’জনের ক্ষেত্রেই খুনের পদ্ধতি গত মিল ছিল তাই ধৃত বিপ্লবকে শেখরের বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে সত্যিটা স্বীকার করে নেয়।
ধৃত খুনি বিপ্লবকে সোমবারই ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়েছে। পুলিশের তরফে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে। পুলিশের অনুমান, বিপ্লব মানসিক রোগের সমস্যায় জর্জরিত। সেই থেকেই ছোট ঘটনাতে খুনের দিকে এগিয়ে যায় বিপ্লব।