নিজস্ব প্রতিনিধি , মূর্শিদাবাদ: এক আকাশ ভর্তি স্বপ্ন নিয়ে স্কুলে ভর্তি হন হাজার হাজার পড়ুয়া। স্কুলগুলোতে ভাল পঠনপাঠন চললে স্বপ্ন বোনে লাখ শিক্ষার্থী। তবে এবার মাঝপথে সেই স্বপ্ন আটকে গেল ফরাক্কা অর্জুনপুর হাই স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের। রীতিমত পঠন পাঠন চলছিল। ছাত্রছাত্রীরাও তাঁদের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে আচমকাই বিনা মেঘে বজ্রপাত। কেননা কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চের এক কলমের খোঁচায় চাকরি হারানো শিক্ষকদের মধ্যে ৩৬ জনই এই স্কুলের। ফলে চিন্তায় পড়েছেন কর্তৃপক্ষ থেকে অভিভাবকরা।
গতকাল সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে রায়ে স্কুলের ৩৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি যেতেই প্রশ্ন উঠছে, কে পড়াবে এখন ছাত্রছাত্রীদের? স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, ‘স্কুলে মোট ৬০ জন শিক্ষক ছিলেন। পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ১০ হাজারের কাছাকাছি। এক সঙ্গে এত জন শিক্ষকের চাকরি চলে যাওয়ায় কীভাবে পঠন-পাঠন সামাল দেওয়া যাবে, তা বোঝা যাচ্ছে না।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, চাকরি যাওয়া ওই ৩৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যে ২০ জন ওই স্কুলেই যোগদান করেছিলেন। বাকি ১৬ জন বিভিন্ন স্কুল থেকে বদলি হয়ে এসেছিলেন।
মাত্র ২৪ জন স্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকাকে দিয়ে ১০ হাজার পড়ুয়ার পঠনপাঠন কিভাবে সম্ভব তা নিয়ে কপালে হাত সকলের। ইতিমধ্যেই অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। একাধিক অভিযোগ উদ্বেগভরা কণ্ঠে বলেছেন, ‘‘কার চাকরি গেল, আর কার থাকল, সেটা আদালতের বিচার্য বিষয়। কিন্তু, এখন স্কুল যে লাটে উঠছে, তার দায় কে নেবে? কী ভাবে আমাদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা চলবে?’ কিন্তু এই প্রশ্নের আপাতত উত্তর নেই। আপাতত অধরা রয়েছে হাজার হাজার ছেলেমেয়েদের স্বপ্ন !