নিজস্ব প্রতিনিধি,নন্দীগ্রাম: বুধবার দুপুরে নন্দীগ্রামে সড়কপথে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে । নিহত হলেন দু ‘জন। আহত হন ১৮ জন যাত্রী। আশঙ্কাজনক ৮ জন। বুধবার দুপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য এলাকায়। দুর্ঘটনা খবর পাওয়ার পরই জেলাশাসকের(DM) কাছে খবর নেন মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার নির্দেশেই গ্রীন করিডর করে রক্তাক্ত যাত্রীদের নন্দীগ্রাম থেকে নিয়ে যাওয়া হয় তমলুক হাসপাতালে(Tamluk Hospital)।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অল্প আহতদের ২৫ হাজার টাকা এবং গুরুতর আহতদের ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের উদ্ধারকাজে নামেন স্থানীয় বাসিন্দা এবং পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার বেলা দেড়টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে নন্দীগ্রাম-চণ্ডীপুর সড়কপথে ভেটুরিয়ার ঠাকুরচক এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, নন্দীগ্রাম-ফটকের একটি যাত্রিবাহী বাস নন্দীগ্রামের(Nandigram) দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় উল্টো দিক থেকে একটি যাত্রিবাহী ট্রেকার আসছিল। বাস এবং ট্রেকারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পিছন থেকে অন্য একটি বাস এসে সজোরে ধাক্কা মারে ট্রেকারটিকে। এর ফলে ট্রেকারটি দুমড়ে মুচড়ে ঢুকে যায় বাসের নীচে।
গ্যাস কাটার দিয়ে দমকল বাহিনীকে(FireBrigade) ডেকে ট্রেকারের বেশ কিছুটা অংশ কেটে যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। অনেকক্ষণ আটকে থাকেন যাত্রীরা। বেশ কয়েক জন গুরুতর আহত বলে খবর।স্থানীয়রা সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত লাগান। কিন্তু দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া ট্রেকারটি থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করার জন্য আনা হয় গ্যাস কাটার। এর পর বেশ কয়েক জনকে বার করে আনা হয়। কয়েক জনকে গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এই দুর্ঘটনার জেরে প্রায় ২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে নন্দীগ্রাম-চণ্ডীপুর সড়কে যানচলাচল। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ বাহিনী।