এই মুহূর্তে




হাওড়ায় পর্ণকাণ্ডে অভিযুক্ত ফুলটুসির বিরুদ্ধে এবার জালিয়াতির মামলা




নিজস্ব প্রতিনিধি: হাওড়ায় দেহব্যবসা ও পর্ণ ভিডিও কাণ্ডে অভিযুক্ত ফুলটুসিকে চেনেন না, এমন কেউ নেই। যদিও তিনি কাজের জগতে শ্বেতা খান এবং পুলিশের খাতায় মোহসিনা বেগম নামে পরিচিত। এবার হাওড়ার পর্ণ কাণ্ড এবং তরুণীকে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার শ্বেতার বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা দায়ের করল পুলিশ। বাঁকড়ার বাসিন্দা শ্বেতার বিরুদ্ধে এবার বিভিন্ন নামে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড এবং প্যান কার্ড বানানোর অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, ওই সব পরিচয়পত্র ব্যবহার করে তিনি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টও খুলেছিলেন। তিনি কী কারণে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছিলেন, এবার হেফাজতে নিয়ে সেটাই জানতে চায় পুলিশ। শনিবার আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। শেষ পর্যন্ত বিচারক কর্মকর্তাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে শ্বেতাকে পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, শ্বেতাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। তাছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা জালিয়াতির অভিযোগেরও তদন্ত করা হবে। এছাড়াও শ্বেতার আরেকটি ফোনের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ, সেটা বাজেয়াপ্ত করতে চায় পুলিশ। উল্লেখ্য, সপ্তাহে কয়েক আগেই হাওড়ার বাঁকরার বাসিন্দা ফুলটুসি ওরফে শ্বেতা এবং তাঁর ছেলে আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে মধুচক্রের অভিযোগ ওঠে।যখন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সোদপুরের একজন তরুণীকে চাকরি দেওয়ার নাম করে অভিযুক্ত মা ও ছেলের বিরুদ্ধে তাঁকে বাড়িতে আটকে রেখে দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার চালানোর ঘটনাটি সামনে এসেছিল।

মেয়েটি খড়দা থানায় অভিযোগ করেছিলেন যে, তাঁকে ইভেন্টে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে আরিয়ান তাঁর মায়ের কাছে নিয়ে যায়। এরপর তাঁরা তাঁকে প্রথমে বার ডান্সার ও পর দেহ ব্যবসায় নামতে বলে। মেয়েটি রাজি না হওয়ায় দীর্ঘদিন মা ও ছেলে তাঁদের বাড়িতে তাঁকে আটকে রাখেন, মেয়েটির চুল কেটে দেয়। তাঁর উপর বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। এরপর মেয়েটি আর সহ্য করতে না পেরে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বন্ধ করে কোনক্রমে বাড়িতে পালিয়ে আসেন। এবং খড়দা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, হাওয়ার ডোমজুড়ে দীর্ঘদিন ধরে সেই ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন ফুলটুসি, আরিয়ান। কিন্তু মেয়েটি তাঁদের কীর্তি ফাঁস করতেই গা ঢাকা দেন মা ও ছেলে। অনেক খোঁজাখুঁজির গ্রেফতার হন ফুলটুসি ও তাঁর ছেলে। এই বিষয়ে এলাকার মানুষজন বলেছেন, নানারকম অসামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন অভিযুক্ত মা ও ছেলে। তাঁদের হাত অনেক দূর ছিল। স্থানীয় কেউ প্রতিবাদ করলেই তাঁদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন ফুলটুসি বেগম।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ব্যবসায়ীকে উপদেশ দিয়ে নগদ টাকা ও গয়না নিয়ে পালাল পোশাক পরা ‘পুলিশ’

রবিতে দুঃসংবাদ, দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস

ব্যারাকপুরে তৃণমূল কাউন্সিলরের দাদা সহ ৪ কুখ্যাত দুষ্কৃতী পুলিশের জালে

ভরা দামোদরের জলে স্নান করতে নেমে তলিয়ে মৃত্যু মামা – ভাগ্নের

বাঁকুড়ায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে খুন করায় নাবালক ছেলের সাক্ষ্যে যাবজ্জীবন সাজা প্রাক্তন সেনা কর্মীর

পরিযায়ী শ্রমিকদের হয়ে মুখ খুললেন কোচবিহারের তৃণমূল মুখপাত্র

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ