এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘রবীন্দ্রনাথ নিজেই অশিক্ষিত’, ফের বেফাঁস বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

নিজস্ব প্রতিনিধি: মাননীয় নরেন্দ্র মোদিজি (Narendra Modi)। আপনি দেশের প্রধানমন্ত্রী(Prime Minister of India) এবং সেই কারণে পদাধিকারবলে আপনি বাংলার একমাত্র কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য(Chancellor of Central University)। সেই বিশ্ববিদ্যালয়টি শুধু শিক্ষাঙ্গন নয়। তা বাংলার সভ্যতা, সংস্কৃতি, কৃষ্টির পাশাপাশি রাবীন্দ্রিক সংস্কৃতির পীঠস্থানও। হ্যাঁ আমরা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়েরই(Viswa Bharati University) কথা বলছি। রবীন্দ্রস্মৃতি ধন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় যাতে UNESCO’র বিশ্ব ঐতিহ্যের তকমা পায় তার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং আপনার সরকার যৌথ ভাবেই চেষ্টা করছে। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য(Vice Chancellor) পদে আপনি যাকে বসিয়ে রেখেছেন আপনি, তাঁর ‘বাঁদারামি’, ‘বেয়াদপি’, ‘ঔদ্ধত্য’ আর কতদিন সহ্য করতে হবে বাংলার মানুষকে সেটা একটু বলবেন! তিনি তো এবার নোবেলজয়ী বিশ্বকবিকে ‘অশিক্ষিত’ বলে দেগে দিয়েছেন। আর কত কী সহ্য করতে হবে সেটা একটু জানাবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীজি।

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে আপনার জানা উচিত, আপনি যাকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে বসিয়েছেন তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে ঠিক কী বলেছেন। তিনি মানে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী(Bidyut Chakrabarty) বলেছেন, ‘রবীন্দ্রনাথ(Rabindranath Tagore) নিজেই অশিক্ষিত(Uneducated)। প্রথাগত শিক্ষা তিনি নেননি। বিকল্প শিক্ষা ব্যবস্থাকেই তিনি প্রাধান্য দিতেন।’ বুধবার বিশ্বভারতীর অন্দরে বিশেষ উপাসনায় শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী উপাসনা মন্দিরে ভাষণ দিতে গিয়ে এই মন্তব্য করেছেন। বিশ্বভারতীর নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে সেই ভিডিও। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীজি আপনি, আপনার সরকার, আপনার মন্ত্রিসভা, আপনার দল কী মনে করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘অশিক্ষিত’ ছিলেন? এরপরেও কী বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকেই আপনারা বিশ্বভারতীর উপাচার্য পদে আপনি রেখে দেবেন যাতে তিনি আরও বেশি করে এই বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর বাংলার সভ্যতা সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে মনের সুখে অপমান করে যেতে পারেন!

জানা গিয়েছে, বুধবার শান্তিনিকেতনের মন্দিরে উপাসনার প্রাসঙ্গিকতা উপস্থিত শ্রোতাদের বিশদে বোঝাচ্ছিলেন উপাচার্য। সেই সময় তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের নাম নিয়ে শান্তিনিকেতন এখন স্বার্থসিদ্ধির সোপান হয়ে উঠেছে। যাঁরা অন্যায় কাজ করেন তাঁরাও বলে ওঠেন রাবীন্দ্রিক। রবীন্দ্রনাথ নিজেই অশিক্ষিত। প্রথাগত শিক্ষা তিনি নেননি, বিকল্প শিক্ষা ব্যবস্থাকেই তিনি প্রাধান্য দিতেন। নিয়ম নিশ্চয়ই আছে, অন্য ব্যতিক্রমও আছে। শিক্ষা দু’রকমের এক ধরনের শিক্ষা কেজি থেকে পিজি, পড়াশোনা করলাম ডিগ্রি লাভ করলাম, চাকরি করলাম। আর অন্যটি বিকল্প শিক্ষা। তাঁর সামাজিক ভাবনাচিন্তা আজও প্রাসঙ্গিক। যে শিক্ষা মানুষকে মানুষ তৈরি করে সেই শিক্ষায় তিনি বিশ্বাসী ছিলেন। বর্তমানে বিশ্বভারতীতে বিকল্প ভাবনা চিন্তার আধার তৈরি হয়েছে।’ কিন্তু ‘রবীন্দ্রনাথ নিজেই অশিক্ষিত’ এতবড় কথা বলার স্পর্ধা কোথা থেকে পান বিদ্যুৎ চক্রবর্তী? এই কথা বলার জন্য এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সহ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর বাংলার সভ্যতা সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে মনের সুখে অপমান করার জন্য কী আপনি তাঁকে উপাচার্য করে পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীজি? এর আগেও শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক, প্রাক্তনী ও রাবীন্দ্রিকদের ভোগবাদী বলেছিলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। আপনি কোনওদিনই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেননি। বাংলার মানুষ কিন্তু সহ্য করতে করতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে দিয়েছেন। সময় থাকতে থাকতেই পদক্ষেপ করুণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীজি।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ডায়মন্ডহারবার ও আনন্দপুর থানার ওসিকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

উত্তরপাড়ার মাখলাতে দৃষ্টিহীনদের মাধ্যমিক পরীক্ষায় নজর কাড়া ফলাফল

রাস্তা পার হতে গিয়ে প্রখর রৌদ্রে মাথা ঘুরে লরির তলায় পড়ে মৃত্যু বৃদ্ধের

রাজভবনের অন্দরে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব সায়নী ও লাভলী মৈত্র

কৃত্রিম বৃষ্টি রামনগরের স্কুলে! গরম থেকে মুক্তি পেতে আনন্দ নিকেতন স্কুলে অবাক করা কান্ড

গরমের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দিতে উদ্যোগী হল রাজগঞ্জ থানার পুলিশ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর