এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কেন বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু দুর্গাপুরে, তদন্ত করবে স্বাস্থ্য দফতর

নিজস্ব প্রতিনিধি: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড(Sasthasathi Card) থাকা সত্ত্বেও সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার সুবিধা মেলেনি দুর্ঘটনাগ্রস্থ ব্যক্তির। কার্যত শেষে বিনা চিকিৎসাতেই ঘটল মৃত্যু। আর তারপরেই রাস্তায় দেহ রেখে ভোর থেকে অবরোধ শুরু রাজ্যের ইস্পাতনগরী দুর্গাপুরে(Durgapur)। আর সেই ঘটনার জেরেই এবার নড়েচড়ে বসল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও কেন দুর্ঘটনাগ্রস্থ ব্যক্তিকে পাঁচ পাঁচটি হাসপাতাল ভর্তি নেয়নি তা নিয়েই এবার তদন্ত কমিটি গঠন করতে পারে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর(Health Department)। যে ৫টি হাসপাতাল ভর্তি নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে তার মধ্যে ৩টি হাসপাতাল বেসরকারি হলেও ২টি সরকারি হাসপাতালও রয়েছে। সেই দুটি হাসপাতালেও কেন ভর্তি নেওয়া হল না সেটাই সবার আগে খতিয়ে দেখা হবে। সেই সঙ্গে কেন তিন তিনটি বেসরকারি হাসপাতালও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও রোগীকে ভর্তি নেয়নি তা নিয়েও ওই কমিটি খতিয়ে দেখবে বলে জানা গিয়েছে।   

ঠিক কী হয়েছে? শনিবার রাজ্যের ইস্পাতনগরী দুর্গাপুরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ৬০ বছরের নির্মল মণ্ডল দুপুর ১টা নাগাদ দোকান বন্ধ করে সাইকেলে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন সেই সময় পিছন থেকে একটি বাইক তাঁকে দুর্গাপুর-লাউদোহা রোডের ওপর ধাক্কা দেয়। তার জেরে গুরুতর ভাবে জখম হন তিনি। খবর পেয়ে তাঁর পরিবার ঘটনাস্থলে এসে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। যদিও নির্মলবাবুর স্ত্রীর নামে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে ভর্তি করা হয়নি। বরঞ্চ রেফার করে দেওয়া হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে নির্মলবাবুকে চিকিৎসকেরা দেখলেও ভর্তি নেয়নি। বরঞ্চ তাঁরা জানিয়ে দেন, শিরদাঁড়ায় আঘাত লাগায় তাঁর অবস্থা বেশ সঙ্কটজনক করে তুলেছে। তাই দ্রুত যেন তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও সেই আর্থিক অবস্থা নির্মলবাবুর পরিবারের ছিল না।

এই অবস্থায় তাঁরা নির্মলবাবুকে নিয়ে বর্ধমান শহরেই থাকা বেসরকারি হাসপাতাল অনময় হসপিটালে গেলেও সেখানে তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। তার জেরে তাঁরা দুর্গাপুরের সনকা হাসপাতালে নির্মলবাবুকে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেন। বর্ধমান(Burdhwan) থেকে দুর্গাপুরে ফেরার পথে তাঁরা কাঁকসার গৌরীদেবী হাসপাতালেও যান নির্মলবাবুকে নিয়ে। কিন্তু সেখানেও নির্মলবাবুকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। শেষে দুর্গাপুরের সনকা হাসপাতাললে নিয়ে গেলেও সেখানেও তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। শেষে রবিবার ভোররাত ৩টের সময় বিনা চিকিৎসাতেই মারা যান নির্মলবাবু। এরপরেই তাঁর পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয় পরিজনেরা ক্ষুব্ধ হয়ে ভোর ৪টে থেকে নির্মলবাবুর দেহ নিয়ে দুর্গাপুর-লাউদোহা রোড অবরোধ(Road Blocked) করেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ এলেও তাঁরা অবরোধ তুলতে পারেননি। কার্যত দীর্ঘক্ষণ ওই রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এই ঘটনায় সব থেকে বড় যে প্রশ্ন উঠেছে তা হল দুর্ঘটনায় আহত এক ব্যক্তি ১৪ ঘন্টা ধরে একের পর এক হাসপাতাল ঘুরেও কেন চিকিৎসা পরিষেবা পেলেন না। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও কেন ২টি সরকারি ও ৩টি বেসরকারি হাসপাতাল কেন তাঁকে ভর্তি নিল না? ঘটনার জেরে রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের বিশিষ্ট চিকিৎসকেরা। নবান্ন সূত্রেও আশ্বাস মিলেছে, ঘটনার যথাযথ তদন্ত হবে ও যারা দোষী তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কেন বেসরকারি হাসপাতালগুলিও ভর্তি নেয়নি সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ ২ মে, উচ্চমাধ্যমিকের ৮ তারিখ

বেনজির কাণ্ড, বীরভূমে বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দুই প্রার্থীর

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো বিজেপি ‘অর্ডার ফিক্সিং’ করছে, তোপ অভিষেকের

অভিজিৎকে নিশানা বানিয়ে দেবাংশুকে বড় দায়িত্ব দিলেন মমতা

তমলুকে মমতার নিশানায় অভিজিৎ, বাদ পড়লেন না বিকাশও

ফের দুয়ারে ভোট, শান্তিপুর-ফুলিয়ার তাঁত শিল্পীরা হতাশার অন্ধকারেই দিন কাটাচ্ছেন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর